আরামবাগ, হুগলি : আরামবাগে (Arambagh) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিদায়ী কাউন্সিলর (Councillor) ফের টিকিট পাওয়ায় বিক্ষোভ। ব্লক পার্টি অফিসে প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকের সময় বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিদায়ী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ, তাও কেন প্রার্থী? প্রশ্ন তুলে জেলা সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে। অন্য কাউকে প্রার্থী করার দাবি জানানো হয়। এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূল প্রার্থীর। 


এক বিক্ষোভকারী বলেন, ওঁকে প্রার্থী চাই না। অন্য কাউকে দাঁড় করাক দল। উনি আমাদের কোনও কাজ করেন না। উপরন্তু, আমাদের যেসব পাওনা সেগুলো নিয়ে অন্য জায়গায় বিক্রি করেন। আমরা গরিব মানুষ। লোকের ঘরে পরিচারিকার কাজ করে খাই। চাল, গম, ত্রিপল-এসব তো আসে আমাদের জন্য। সরকার থেকে তো গরিবের জন্য এই জিনিসগুলো আসে। সেগুলো কেন পাই না ?


আরও পড়ুন ; বৈদ্যবাটিতে বিধায়ককে প্রার্থী করার দাবি, টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শ্রীরামপুরে


সব মিটে যাবে, আলোচনা করে মিটিয়ে দেব বলে দাবি জেলা সভাপতির। তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় কর্মীদের ক্ষোভ আছে। ওটা আমরা বসে মিটিয়ে নেব। তাছাড়া একটা মানুষ কি সবার কাছে ভাল হয়?


পুরভোটে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের আঁচ হুগলিতেও ছড়িয়েছে। বৈদ্যবাটিতে (Baidyabati) বিধায়ককে প্রার্থী করার দাবিতে গতকাল শ্রীরামপুরের নগার মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। চাঁপদানির তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম গুঁই বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। ফের তাঁকে প্রার্থী চেয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। যদিও তিনদিন আগে তৃণমূল বিধায়ক নিজেই জানিয়েছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিনি প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করেছেন। 


এদিকে প্রার্থী নিয়ে এই বিক্ষোভের আবহে গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, সুব্রত বক্সী-পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে তালিকা দিয়েছেন, সেটাই চূড়ান্ত"।


একই দিনে সাংবাদিক বৈঠকে প্রার্থী তালিকা প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) জানিয়েছেন, 'প্রার্থী তালিকা নিয়ে যেখানে সমস্যা ছিল, সেগুলিও ঠিক করে গতকাল পাঠানো হয়েছে। এই প্রার্থী তালিকা নিয়ে আর ক্ষোভ থাকা উচিত নয়'।