সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডানকুনি: এবার আপের পোস্টার দেখা গেল ডানকুনি শহর জুড়ে। পোস্টার দেখা গেলেও নেতা খুঁজে পাওয়া গেল না এই নিয়েই বিজেপি ও তৃণমূলের  রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।


তৃণমূলের তরফে ডানকুনির যুব সভাপতি শম্ভু সাউ বলেন, "রাস্তায় কোন দল পোস্টার মারবে, কোন দল মিসকল দিয়ে সদস্যপদ দেবে এটা সেই দলের ব্যক্তিগত বিষয়। এখন আপের পোস্টার পড়েছে। কয়েকমাস আগে দেখেছি বিজেপি মিসডকল দিয়ে সদস্য নিয়েছে। এরা সকলেই মিসডকল পার্টি। এরা তাই জনগণের থেকে মিস হবেই। বিজেপি যেমন সববার হয়েছে। ২০২৪ এও তাই হবে। পশ্চিমবঙ্গ গণতন্ত্রের পীঠস্থান। সব দল কিন্তু তাই রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে। অন্য কোনও রাজ্যে এমনটা হয় না। সেখানে অন্য দলের ওপর আক্রমণ করা হয়।" 


রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক দিলীপ যাদব এ প্রসঙ্গে বলেন, "বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন সময়ে উৎসাহ দেখিয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছেন বাংলার মানুষ। বাংলার মানুষ বাংলার ভাল চান। আর এই সব রাজনৈতিক দলরা নিজের ভাল করতে আসেন। তাই বাংলা সবসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই থাকবে। তাই কারা এল, কী পোস্টার দিল এটা কোনও বড় বিষয়ই নয়।" 


অন্যদিকে, ডানকুনির বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, "আপের পোস্টার নিয়ে এত হইচই করার কিছু কারণ নেই। সদ্য ওঁরা পাঞ্জাবে জিতেছে। যেখানে কিছু ছিল না। কংগ্রেসের মারামারির জন্য ওঁরা জিতেছে। পশ্চিমবঙ্গে ওঁদের কোনও জায়গা হবে না। বিজেপি এ রাজ্যে এখন বিরোধী, এরপর ক্ষমতায় আসবে। ওঁরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে মোদির জায়গায় কেজরিওয়াল আসবে। এসব ব্যাপার বেশিদিনের নয়।" 


তবে এই প্রথম নয়, এর আগে মালদার রতুয়ায় সদস্য সংগ্রহে নামে আম আদমি পার্টি। দলের তরফে জানানো হয়েছে, ধারাবাহিক ভাবে তাদের এই কর্মসূচি চলবে। কিছুদিন আগেই মালদার রতুয়া থানার পরাণপুর স্ট্যান্ডে সকাল থেকে অভিযান চলে। মালদার তৃণমূল কংগ্রেসের কো অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, "পরিযায়ী দল এরা, এতে লাভ হবে না, মালদায় আমরাই থাকব।" মালদার বিজেপি বিধায়ক গোপাল সাহা বলেন, "ভোট এলেই আঞ্চলিক দলগুলি এমন করে, এতে কিছু যায় আসে না, আগামীতে বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে, আপ কোনও ফ্যাক্টর নয়।"