সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: ক্রিকেট (cricket) খেলতে (practice) গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু (tragic death) তরুণ ক্রিকেটারের (young cricketer)। নাম দীপঙ্কর দাস। বয়স ১৮ বছর। বাড়ি চন্দননগরের (chandannagar) কাঁটাপুকুর মসজিদতলা এলাকায়। অকস্মাৎ তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে চন্দননগরে।
কী ঘটেছে?
পড়শিরা জানাচ্ছেন, নাড়ুয়া হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া করতেন দীপঙ্কর। শুক্রবার বিকেলে চন্দননগর সন্তান সংঘের মাঠে ক্রিকেট প্র্যাকটিস করতে আসেন। সে সময়ই একটি ক্যাচ ধরতে গিয়ে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান তিনি। হাসপাতালের নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তরুণের। এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন দীপঙ্কর। বছরদুয়েক আগেই এক দুর্ঘটনায় তাঁর দাদাও মারা গিয়েছেন। এবার ছোটো ছেলের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন বাবা-মা।স্থানীয় কাউন্সিলর মোহিত নন্দী বলেন, 'ছেলেরা প্রতিদিন মাঠে ক্রিকেট প্র্যাকটিস করে। দীপঙ্করও করত। ভালো খেলার পাশাপাশি খুব ভালো খোল বাজাত। খুবই ভালো ছেলে ছিল। হঠাৎ যে কী হয়ে গেল!' গত অক্টোবরে হাওড়ায় ফুটবল খেলার সময় পায়ে তার জড়িয়ে মারা যায় ১২ বছরের এক কিশোর। তরতাজা প্রাণের অকালমৃত্যুতে সে বারও সম্বিৎ হারিয়েছিল গোটা এলাকা।
খেলতে খেলতে মৃত্যু...
নবান্ন থেকে মাত্র হাফ কিলোমিটার দূরে শিবপুরের মালিবাগানে ওই ঘটনাটি ঘটেছিল। সেখানে এভারগ্রিন স্পোর্টিং ক্লাব নামে একটি স্থানীয় ক্লাবের একটি ছোট মাঠে বাচ্চারা প্রতি দিন ফুটবল খেলে। সেদিনও তাই করছিল। হঠাতই একটা কাটা তার ইরফান খান নামে ১২ বছরের এক কিশোরের পায়ে জড়িয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ ওই অবস্থাতেই পড়ে ছিল সে। পরে বিষয়টি আশপাশের বাসিন্দাদের নজরে আসায় পুলিশে খবর যায়। ছুটে আসেন পরিজনেরা। দ্রুত তাকে টোটো করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে ইরফানকে। শিবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, কিছু দিন আগে ক্লাবে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই জন্য আলো লাগানো হয়েছিল। তার জন্য বিদ্যুতের তার জোড়া হয়। সম্ভবত খেলার সময় ফুটবল লেগে তার ছিড়ে যায়। সেই তারই মাটিতে পড়েছিল যা থেকে দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:পার্ক সার্কাস, মা ফ্লাইওভার ও সিঁথির মোড়! তিনটি দুর্ঘটনা রাতের কলকাতায়