রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: কলকাতা-সহ গোটা দেশ জুড়ে পালিত ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবস, এমনই আবহে এল মর্মান্তিক খবর। নিউটাউনের ইকোস্পেসে বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা গৃহবধূর (Suicide Case)। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ (Police)।


 ১০ তলা থেকে সোজা ঝাঁপ দিলেন গৃহবধূ


 নিউটাউনের ইকোস্পেসের কাছে একটি বিলাসবহুল আবাসনের ১০ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা কবিতা কাউর (৩৫) নামে এক গৃহবধূর। গভীর রাতে নিউটাউনের এই বিলাসবহুল আবাসন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে খবর যায় টেকনোসিটি থানার পুলিশের কাছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে  মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।


প্রায় এক বছর ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই গৃহবধূ 


তদন্তে নেমে  জানতে পারে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ চলছিল । প্রায় এক বছর ধরে সেই কারণেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। গতকাল রাতের বেলা আচমকা ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সমস্ত ঘটনার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলা হয়েছে।


দত্তাবাদে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ


একুশ সালে সল্টলেক (Saltlake) দত্তাবাদেও একটি মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ (Body Rescued)।  আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছিলেন পিউ হালদার। ঘটনায় গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছিল স্বামী সঞ্জয় হালদারকে।ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর (Housewife suicide) মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল সল্টলেক (Saltlake) দত্তাবাদে (Duttabad)।


অনলাইন গেম খেলতে বাধা নাকি মারধরের কারণে আত্মঘাতী ?


শ্বশুরবাড়ির অভিযোগ ছিল, প্রায় সারাদিনই মোবাইলে অনলাইন গেম খেলত পিউ হালদার, গেম খেলতে বাধা দেওয়ায় হয়েছিলেন আত্মঘাতী গৃহবধূ পিউ।যদিও মৃতার পরিবারের অভিযোগ ছিল, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মারধর করতেন পিউকে। সেই কারণেই আত্মঘাতী হন পিউ। অনলাইন গেম খেলতে বাধা নাকি মারধরের কারণে আত্মঘাতী হন তিনি, তার তদন্তে নামে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।যদিও পিউ-এর বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মঘাতী গৃহবধূর স্বামী সঞ্জয় হালদারকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর দক্ষিণ থানা পুলিশ। 


আরও পড়ুন, ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা কলকাতায়


তবে এর পাশাপাশি বাইশ সালে বিবাহ বর্হিভূত কারণেও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপীঠে ২ সন্তানকে নিয়ে গায়ে আগুন দিয়ে 'আত্মঘাতী' হয়েছিলেন গৃহবধূ। বাপের বাড়িতেই ৪ ও ৫ বছরের দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে আত্মহত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ।