শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অগ্নিদগ্ধ (burn) হয়ে মৃত্যু (death) হল এক গৃহবধুর (housewife)। মৃতার নাম সাবিত্রী বিশ্বাস। বয়স ৩৮ বছর। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে গোসাবার (gosaba) বালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়নগর কলোনি এলাকায়।


কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে বিজয়নগর কলোনির বাসিন্দা সঞ্জয় মণ্ডল ঘরের মধ্যেই সাবিত্রীকে জ্বলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। চিৎকার শুরু করেন তৎক্ষণাৎ। ছুটে আসেন পড়শিরা। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুনও নেভানো হয়। পুলিশকে খবর দিলে তারাই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে গিয়েছে। চিকিৎসকরা যুবতীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ এর মধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, মায়ের সঙ্গে অশান্তি ছিল ছেলের। সে জন্যই তাঁকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। তবে কী কারণে মৃত্যু, তা তদন্ত করে দেখছে গোসাবা থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে মৃতার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনার আকস্মিকতায় বিহ্বল এলাকা। 


রহস্যমৃত্যু আগেও...
গত অক্টোবরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে একটি পুকুর থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মৃতের নাম শান্তনু মণ্ডল। প্রতিবেশীরাই পুকুরের মধ্যে বছর তিরিশের ওই যুবকের দেহ ভাসতে দেখেন। কীভাবে মৃত্যু, খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে ক্যানিং থানার পুলিশ। একই মাসে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ঘরে আটকে রেখে অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পথের দাবি এলাকায়। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে মহিলাকে। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত যুবককে। অভিযুক্তের পরিবারের সাফাই, চাকরি চলে যাওয়ায় অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। আবার তার আগে, ডিসেম্বরে জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তিকে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এমনকী বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে তাঁকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
সব মিলিয়ে মাঝেমধ্যেই নানা অপরাধের জন্য খবরে শিরোনামে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। আতঙ্কে স্থানীয়রা। নানা প্রশ্ন অনেকের মনে। উত্তর আপাতত অধরা। 


আরও পড়ুন:শেষবেলায় ফের নায়ক স্টোকস, পাক বধ করে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্য়ান্ড