নয়াদিল্লি: সুকন্যা মণ্ডলের (sukanya mondal) নামে কোটি কোটি টাকার যে ফিক্সড ডিপোজিট, এর উৎস কী? গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের  হিসাবরক্ষক (Anubrata Mondal Accountant) মণীশ কোঠারিকে এই নিয়ে জেরা করল ইডি। সঙ্গে রাইস মিলের সম্পত্তির নেপথ্য় রহস্য, অনুব্রত-জায়া ছবি মণ্ডলের সম্পত্তি কেনার টাকার উৎস নিয়েও প্রশ্ন করা হয় তাঁকে, এমনই খবর ইডি সূত্রে। 


আর কী?
এদিন মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। দিল্লিতে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। গরুপাচার মামলায় ১১দিনে ১২জনকে তলবের প্রথম দিনই কেষ্টর সিএ মণীশ গ্রেফতার করা হল। আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আপাতত তিনি ইডি হেফাজতে। সূত্রের খবর, প্রথমে এক ঘণ্টা একাকীই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে মণীশ কোঠারিকে। পরে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যা করেছেন সবটাই মণীশ করেছেন, বারবার ইডির কাছে দাবি করেন কেষ্টর, দাবি সূত্রের। ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টের ব্য়াপারেও তিনি কিছু জানতেন না।  জিজ্ঞাসাবাদে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্য়া মণ্ডলও দাবি করেন, তাঁর বাবার সমস্ত হিসেব নিকেশ দেখেন মণীশ। তবে কি মণীশ কোনও তথ্য় গোপন করছেন? নাকি দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন অনুব্রত? দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে মঙ্গলবার তারই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। কী ভাবে রকেট-গতিতে কেষ্টর সম্পত্তির উত্থান হয়েছিল? গরু পাচারের বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস কী ?রাইস মিলের সম্পত্তির নেপথ্য়ে কী রহস্য়? নামে-বেনামে ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্ট, এর মাধ্য়মে কি কালো টাকা সাদা করা হত? এই ভুয়ো অ্য়াকাউন্ট খোলার ভাবনা কার মস্তিষ্কপ্রসূত? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি। আগামীকাল গরুপাচার মামলায় অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। প্রসঙ্গত, অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে ৬ দিনে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনা হয়েছিল, চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই। এর আগে, গত বছর নভেম্বরে মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, বুধবার, অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁর মেয়ে সুকন্য়াকেও। প্রয়োজন পড়লে, অনুব্রত, তাঁর কন্য়া সুকন্য়া ও হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারি তিন জনকে একসঙ্গে বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। 


পার্থ-অর্পিতা প্রসঙ্গ...
ঘটনাচক্রে এদিনই ভার্চুয়াল শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল থেকে প্রথমেই গ্রেফতার হন পার্থ। একদা তৃণমূলে মমতার পরই দু'নম্বর নেতা ছিলেন পার্থ। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। তাঁর বাড়িতে গিয়ে তেমন কিছু না মিললেও, চিরকুটের সূত্র ধরে পার্থর ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকার পাহাড়় উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। নগদে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। কাঁড়ি কাঁড়ি গহনা, রাশি রাশি ধন-সম্পত্তির হদিশ মেলে বলে। পার্থর দৌলতেই ওই টাকা অর্পিতার ফ্ল্যাটে পৌঁছয় বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের। যদিও এ নিয়ে স্বীকারোক্তি মেলেনি কোনও পক্ষেরই।


আরও পড়ুন:রাত পোহালেই জিজ্ঞাসাবাদ সুকন্যাকে, তার আগে দিল্লিতে গ্রেফতার অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ