অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: টেরিটি বাজারে (Tiretta Bazaar) তিনতলা বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের (fire) ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা প্রোমোটিং যোগের কারণে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন। গতকাল ওই বাড়িতে কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে, ফরেন্সিক (forensic) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দমকলমন্ত্রী (Fire Minister)। 


অগ্নিকাণ্ডের পিছনে অন্তর্ঘাত?  


শনিবারের বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে, লালবাজারের কাছে টেরিটি বাজারে তিনতলা বাড়ির একাংশ। ১২০ বছরের পুরনো বাড়িটির এমনিতেই ভগ্নদশা, অগ্নিকাণ্ডের পর আরও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে বাড়িটি। এই অবস্থায় বাড়ির সদর দরজা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ, যাতে কেউ বিপজ্জনক বাড়িটিতে ঢুকতে না পারেন। 


শনিবার সন্ধে সোওয়া ৭টা নাগাদ শতাধিক বছরের পুরনো এই বাড়িটির তিনতলায় আগুন লাগে। ঝুঁকি নিয়ে জীর্ণ বাড়িতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার লড়াই চালান দমকলকর্মীরা। রাত ৯টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে, ফরেন্সিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দমকলমন্ত্রী। যদিও, অগ্নিকাণ্ডের পিছনে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।                                                                                              


ছবিতেই স্পষ্ট তিনতলার যে ছাদে আগুন লেগেছিল, সেখানে এখনও কালো পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ। খুব স্বাভাবিকভাবে সেখানে উঠে নমুনা সংগ্রহ করতে না পারলে ফরেন্সিক টিম বুঝতে পারবে না, ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছিল। চলছে তদন্ত। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, 'ওখানে আগুন লাগতে পারে না। এতে প্রোমোটার চক্রের যোগ আছে।'                                                                                    


আরও পড়ুন: North 24 Pargana: জগদ্দলে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য, পুলিশের টহলদারি চলাকালীন মজুত বোমা বিস্ফোরণ


অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তোরে বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসের এসি বগিতে আগুন লাগল। কলকাতা আসার পথে বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসের বগিতে আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের কুপ্পাম স্টেশনে থামানো হয় ট্রেনটিকে। বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসের এস-৯ এসি বগিতে আগুন লাগে। আগুন লাগার খবর পেয়ে আতঙ্কে ট্রেনের বাইরে বেরিয়ে আসেন যাত্রীরা। হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে আগুন।