সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের জগদ্দলে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য। রাতে বোমাবাজি, দিনে পুলিশের টহলদারি চলাকালীন মজুত বোমা বিস্ফোরণ। বিয়েবাড়িতে মাইক বাজানো নিয়ে বিবাদের জেরে বোমাবাজির ঘটনায় ৪ জন আহত। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাতে ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সেনা কর্মীর আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে মাইক বাজানো নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। দু’ পক্ষের মধ্যে শুরু হয় মারপিট।
এর মধ্যেই দুষ্কৃতীরা পরপর ২টি বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে জখম হন ৪ জন। ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এরপর আজ সকালে পুলিশের তল্লাশি অভিযান চলাকালীন বোমা বিস্ফোরণ হয়। দুটি বাড়ির মাঝে সংকীর্ণ গলি থেকে উদ্ধার হয় ২টি কৌটো বোমা। পাশাপাশি, শ্যামনগরের কাউগাছিতেও বোমাতঙ্ক। পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে বোমার সুতলি জাতীয় বস্তু পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাসুদেবপুর থানার পুলিশ।
বিয়েবাড়িতে মাইক বাজানো নিয়ে আপত্তি। সেই নিয়ে বিবাদ গড়াল বোমাবাজিতে। পুশিলের টহল দেওয়ার সময়ও ফাটল বোমা। রাত থেকে দিন, দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাটপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। উদ্ধার হল তাজা বোমাও। চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাতাসে বারুদের গন্ধ। অবাধ দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য! ভাটপাড়ায় ফিরল সেই চেনা আতঙ্ক! রাতে বিয়েবাড়িতে বোমাবাজি। সকালে বোমা উদ্ধার। পুলিশের টহলের সময়েও জোরাল বিস্ফোরণ! এই হচ্ছে ভাটপাড়ার ভয়াবহ ছবি! শনিবার রাতে ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এক সেনাকর্মীর আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল। তারস্বরে বাজছিল মাইক। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মাইক বাজানো নিয়ে আপত্তি তোলেন স্থানীয় কয়েকজন। তা নিয়েই সংঘর্ষ বাধে দু’পক্ষের মধ্যে। হঠাৎ বিয়েবাড়ি লক্ষ্য করে পর পর বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা।
তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায় সংঘর্ষ ও বোমাবাজির ঘটনায় ৪ জন আহত হন। হামলার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর পুলিশ ও RAF যখন এলাকায় টহল দিচ্ছে তখনই হঠাৎ কান ফাটানো শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা পাড়া! ভাটপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অলি-গলিতে শুরু হয় চিরুণি তল্লাশি কিছুক্ষণ পরে ২ বাড়ির মাঝখান থেকে উদ্ধার হয় কৌটো বোমা।
বোমা-বারুদের দাপট ভাটপাড়ায়। কেন অবাধ দুষ্কৃতীরাজ? কী ভূমিকা পুলিশের? তবে ভাটপাড়াই শুধু নয়! এদিন উত্তর ২৪ পরগনা আমডাঙা ও শ্যামনগরের কাউগাছিতেও উদ্ধার হয় তাজা বোমা! পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমা-বারুদের দাপট দেখা যাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনায়। রক্ত ঝরছে। প্রাণ যাচ্ছে। সন্ত্রস্ত সাধারণ মানুষ।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, সারা বছরই বোমা বন্দুক মজুত করে রাখা হয়, এলাকা দখলের জন্য। পঞ্চায়েত-মাছের ভেরি লুঠ করার জন্য, ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিয়ন্ত্রণের জন্য, সাধারণ মানুষ যাতে ভয়ে থাকে...বুড়িমা চকোলেট বোমা পাওয়া যায় না, কিন্তু পিসিমার বোমে ভরে গেছে।
ভাটপাড়ায় ফের বোমা-বারুদের দাপট। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের। পুলিশে আস্থা তৃণমূলের। পুলিশি টহল চলছে। তাও দিন নেই, রাত নেই লাগাতার বোমাবাজি হচ্ছে ভাটপাড়ায়। ভয়ে কাঁটা হয়ে আছেন সাধারণ মানুষ। এই সন্ত্রাসের পরিবেশ আর কতদিন? সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।