ভাস্কর ঘোষ, বালি: হাওড়ার মতো অনিশ্চয়তায় বালির পুরভোট। কেন হাওড়ার সঙ্গে বালিকে মিশিয়ে দেওয়া হল? কেনই বা ফের আলাদা করা হল? তা নিয়ে তৃণমূলের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। যদিও শাসক দলের দাবি, বালি আলাদা হওয়ায় উন্নয়ন গতি পাবে।


১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় পুরভোট। গঙ্গার এপাড়ে পুরভোটের দিন ঘোষণা হলেও, হাওড়ার মতো বালির পুরভোট নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ২০১৫ সালে হাওড়ার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় বালি পুরসভাকে। সপ্তাহ দুয়েক আগে, রাজ্য বিধানসভায় বিল এনে, আবার আলাদা করা হয় দুই পুরসভাকে। এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে কবে হবে শতাব্দীপ্রাচীন বালি পুরসভার ভোট? 


২০১৫ সালে হাওড়া পুরসভাকে হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। কয়েকদিন আগে আলাদা করা হয়। বালি আলাদা হলে পরিষেবা আরও ভাল পাব। আমরা চাইছি বালি পুরসভা থাকুক। ভোটটা হোক। যে কাউন্সিলর আসবে সে কাজ করবে। এলাকাবাসীর মতো, বাম-কংগ্রেসেরএ দাবি হাওড়া পুরসভায় অন্তর্ভুক্তির পর থেকে বালির হাল খারাপ হয়েছে। 


হাওড়ার সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শঙ্কর মৈত্র জানিয়েছেন, ''১৫ সালে আমাদের কথা না শুনে মন মর্জি জুড়ে দিল। বলল উন্নত পরিষেবা দেব। ৬ বছর ধরে মানুষকে হয়রানি করল। ভোট দরকার, এই নিয়ে কোনও অজুহাত চলতে পারে না।'' এলাকার কংগ্রেস নেতা বাদল ভট্টাচার্য, ''আমরা এই নিয়ে হাইকোর্টে কেস করি। বালি হলে আমরা পরিষেবা পাই। আমরা আগেও ভাল পরিষেবা পেয়েছি। হাওড়া পুরসভায় ঢোকার পর থেকে কোনও পরিষেবা পাচ্ছি না।''
 
বালির বিজেপি নেতা মনোজ সিংহ বলেন, ''এতদিন ভোট হয়নি দিদি ভয়ে পেয়েছিল। হাওড়ার সঙ্গে করে কোনও পরিষেবা হয়নি। রাজ্যপাল ঠিকই বলেছেন। আমরা ভোটটা চাই।'' এদিকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কৈলাশ মিশ্র বলেন, ''রাজ্যপাল আসলে পদ্মপাল, যারা ময়দানে সারা বছর থাকে তাই আদালতে যাচ্ছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে আমরা জিতব। মুখ্যমন্ত্রী সবার ভালর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বালিকে আরও পরিষেবা দিতে পারব।''


২০১৫ সালে পুরভোটে সিপিএমের থেকে বালি পুরসভা ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। বিধানসভা ভোটের নিরিখে বালি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টি এগিয়ে ছিল তৃণমূল। বিজেপি লিড পায় ৫টি ওয়ার্ডে।