সুনীত হালদার, হাওড়া : রাতের অন্ধকারে রাস্তা পেরোতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি। প্রবল গতিতে আসা গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের। ঘটনা হাওড়ার। শুক্রবার গভীর রাতে আন্দুল রোডে দুর্ঘটনাটি ঘটে (Accident)। পেট্রোল পাম্পের সামনের রাস্তা পেরোনোর সময় দ্রুতগতিতে আসা একটি গাড়ি ধাক্কা মারে পিয়ালী বসাককে। হাওড়া পুলিশে কর্মরত ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার ছিটকে পড়েন রাস্তায়। পরে রাতের দিকে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ গ্রেফতার (Police Arrested) করেছে অভিযুক্ত গাড়িচালককে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, রাতের কিছুটা অন্ধকারে রাস্তা পেরোনোর সময় ঘটে দুর্ঘটনা। ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে যে গাড়িটি ধাক্কা মারে সেই গাড়িতে ছিলেন এক আইনজীবী। রাস্তায় ছিটকে পড়া গুরুতর আহত ওই মহিলাকে তিনিই নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান এক বেসরকারি হাসপাতালে। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। রাতের দিকে হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার। শনিবার ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যে খবর জানিয়েছেন হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী। হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে মৃত ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের (Women Civic Volunteer) পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে হাওড়া সিটি পুলিশে (Howrah City Police)।
এদিকে, কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality Corporation) ডাম্পারের ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ডি এল খান রোডে উত্তেজনা ছড়াল। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। ডাম্পারের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ। অবরোধ। কলকাতা পুরসভার ডাম্পারের ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ডি এল খান (DL Khan Road) রোড। মৃত্যু হয়েছে, বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা মায়া রায় নামে বছর ৬১-র এক মহিলার। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার, সকাল ১১.৩৫ নাগাদ পুজো দিতে যাচ্ছিলেন মায়া। তখন, দ্রুত গতিতে আসা একটি ডাম্পার ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারার পর তাঁকে ১০০ মিটার টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় ডাম্পারটি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃদ্ধার মাথার উপর দিয়ে চলে যায় গাড়ির চাকা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিগনাল না মেনে বেপোরোয়াভাবে গাড়ি চালানো হয় এই রাস্তায়। ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি নেই বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। এদিন, ঘটনাস্থলে ডিসি আকাশ মাঘারিয়া পৌঁছলে, তাঁর কাছে ক্ষোভ উগরে দেন বাসিন্দারা।