কলকাতা: রাজ্যে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam)। এবার মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪ লক্ষ। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৮। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য খোলা হয়েছে একাধিক কন্ট্রোল রুম (Control Room)। পর্ষদ ও পুলিশের (Police) পক্ষ থেকে সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে শনিবার জীবনের বড় পরীক্ষা দিতে গিয়ে প্রবল সমস্যার মুখে পড়েন এক পরীক্ষার্থী। যদিও ত্রাতা হয়ে আসেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এক ইনস্পেক্টর। 


কলকাতা পুলিশের ফেসবুকে (Facebook) এই ঘটনাটি জানান হয়েছে। সেখানে বলা হয় যে, আজ সকাল ১১.২০ নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোডে রাজা কাটরার কাছে টহল দিচ্ছিলেন হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের ওসি ইনস্পেকটর শৌভিক চক্রবর্তী। সেখানে তাঁর নজরে পড়ে, ক্রন্দনরতা স্কুল ইউনিফর্ম পরা এক কিশোরী, সাহায্য চাইছে রাস্তার অনেকের কাছেই।


কৌতুহলবশত তাঁকে জিজ্ঞেস করে শৌভিক জানতে পারেন, এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে মেয়েটি। পরীক্ষার সিট পড়েছে শ্যামবাজারের আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে। নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা সে। একাই পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। যেহেতু পরিবারের সকলে তাঁর দাদুর শেষকৃত্য সারতে গেছেন। কিন্তু বড় দেরি হয়ে গিয়েছে বেরোতে, সময়মত পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো অসম্ভব, তাই কাঁদতে কাঁদতে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করছে সাহায্যের আশায়। 


আরও পড়ুন, ইংরেজি প্রশ্নপত্রকাণ্ডে শনাক্ত ২৩, ফের অর্ন্তঘাত বলে দাবি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের


ব্যাপার বুঝে আর এক মিনিটও ব্যয় না করে মেয়েটিকে তাঁর গাড়িতে তুলে নেন শৌভিক। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে খবর দিয়ে তৈরি করিয়ে নেন ‘গ্রিন করিডর’। রাস্তায় কোথাও না থেমে ঝড়ের গতিতে গাড়ি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায় কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে এগারোটায়, যখন সবে দরজা খুলছে স্কুলের। অভিভূত, কৃতজ্ঞ কিশোরীকে ‘বেস্ট অফ লাক’ জানিয়ে বেরিয়ে পড়েন শৌভিক। 



অন্যদিকে, মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা শুরুর পর বিজেপি রাজ্য সভাপতির ট্যুইট ঘিরে জল্পনা। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, সকাল থেকে সমাজ মাধ্যমে ঘুরে বেড়িয়েছে ইংরেজির প্রশ্নপত্র। এটা কোনও প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনাই নয়, পরিকল্পিত অন্তর্ঘাত!  প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিক্রিয়া পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের।