সুনীত হালদার, হাওড়া: সাতসকালে পুকুর থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ তৃণমূল কর্মীর (TMC Worker) মৃতদেহ। সিপিএমের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে পথে নামল তৃণমূল। হাওড়ার আমতার চাটরা-মোল্লাপাড়ার ঘটনা। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম লাল্টু মিদ্যা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আমতা-চন্দ্রপুর ফাঁড়ির সামনে আমতা-রানিহাটি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। একঘণ্টা অবরোধ চলার পর, পুলিশ ও র্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের, প্রতিক্রিয়া সিপিএমের। ঘরছাড়া সিপিএম কর্মীদের ফেরাতে মাসদেড়েক আগে ওই এলাকায় যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সিপিএম নেতাকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তারপর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল।
পরিবারের অভিযোগ:
নিহত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীর দাবি, গতকাল সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তখন আর যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরে পুকুর থেকে দেহ মেলে। পরিবারের অভিযোগ, এটা খুনের ঘটনা। খুনের পিছনে বিরোধী দল রয়েছে, অভিযোগ নিহত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী রূপা বেগমের। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও একই কথা বলেছেন।
নিশানায় সিপিএম, পাল্টা তোপ:
মাসখানেক আগে, সেখানে মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে পদযাত্রা হয়। সেখানে ঘরছাড়া কর্মীদের ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। তখনও একটা ঝামেলা হয়েছিল। তাই এটাও সিপিএম কর্মীদেরই কাজ, দাবি তৃণমূলের। পাল্টা সিপিএমের জেলা নেতৃত্বের দাবি, সামনে পঞ্চায়েত ভোট। ওই এলাকায় টিকিট পাওয়া নিয়ে একটা সমস্যা চলছে তৃণমূলের মধ্যে। সেই কারণেই এমনটা হয়ে থাকতে পারে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'সিপিএমের বিরুদ্ধে মিছিল করার কারণ তৃণমূলের হয়েছে। এখন বলতে বাধ্য হচ্ছে। এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই হয়েছে। আনিসের খুনের সময়েও এমন হয়েছিল। পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বোঝাপড়া রয়েছে। তৃণমূল নিজেদের দোষ নিজেরা স্বীকার করুক।'
মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, 'তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই। লাল্টু মিদ্যা আমাদের দলের পুরনো কর্মী। কিছু বহিরাগত, যারা এলাকায় থাকে না। তাদের মধ্যে কিছু বিজেপি ও কিছু সিপিএম রয়েছে। ওরাই বাইরে থেকে ঢুকে লাল্টু মিদ্যাকে খুন করে পালিয়ে গিয়েছে। ওরা অশান্তি তৈরি করতে চাইছে এলাকায়।' তাঁর অভিযোগ, এই এলাকায় আগে সিপিএমের দাপট ছিল, বামেদের হাতে বহু তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছিলেন আগে। আবার এমন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাঙ্কেতিক ভাষায় চলত কথা, ছক ছিল নাশকতারও? পাকড়াও IS জঙ্গি