সুনীত হালদার, হাওড়া: বিজেপির (BJP) থানা ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে তুলকালাম। থানার গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।
টিনের চালে মুহুর্মুহু ঘুষি, লাথি মেরে ভেঙে ফেলা হল সাইন বোর্ড
লোহার গেট ঠেলে থানার ভিতরে ঢোকার চেষ্টা। থানা রক্ষা করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা। বিজেপির থানা ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল! দলীয় কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর সহ পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে শনিবার উদয়নারায়ণপুর থানা ঘেরাও করে বিজেপি।
কী বলছেন দুই পক্ষ?
দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সামনেই থানার বাইরে রীতিমতো তাণ্ডব চালান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। গেট ভেঙে থানায় ঢোকার চেষ্টা করা হয়। সেখানেই সভা থেকে পুলিশের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ নিয়ে বলেন, 'কোনও একটা গাড়িতে যদি হামলা হয়, আমি ফোন করব, আমার নেতারা ফোন করবে, সবাই গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে আবার চলে আসবেন, ওখানে সবাইকে পেটাব... ঝান্ডাও নিয়ে আসবেন, অত সরু বাতা দিয়ে হবে না, বাঁশ নিয়ে আসবেন'।
তৃণমূল (TMC) বিধায়ক ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী অরূপ রায়ের দাবি, 'বিজেপি একটা উচছৃঙ্খল পলিটিক্যাল পার্টি পশ্চিমবাংলায়, একদম উচছৃঙ্খল কিছু ছেলেকে নিয়ে এরা দল রাজনীতি করে, এরা কোনও আইন মানে না, কোনও শৃঙ্খলা মানে না, কোনও কানুন মানে না। ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি নিয়ে পুলিশ যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে'।
এদিন সভার পর উদনারায়ণপুর থানায় গিয়ে ডেপুটেশন দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এর আগে জয়পুর থেকে হেলমেট ছাড়াই বাইকে উদয়নারায়ণপুর পৌঁছন তিনি।
নরেন্দ্রপুরে স্কুলে তাণ্ডব
অন্যদিকে ক্লাস চলাকালীন নরেন্দ্রপুরে স্কুলে ঢুকে তাণ্ডব চালাল বহিরাগতরা। বেধড়ক মারধর করা হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। মারধরের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনে অভিযোগ আক্রান্তদের। প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির প্রতিবাদ করাতেই তাঁর মদতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি আক্রান্তদের। নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের। অভিযোগ মানতে নারাজ প্রধান শিক্ষক।