জয়ন্ত পাল, কলকাতা: তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেই বেআইনিভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্য়বস্থা নিল তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর ও তাঁর স্বামী।


দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় পুকুর ভরাট করে বহুতল নির্মাণের অভিযোগ। খোদ স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেই পুকুর ভরাটে মদত দেওয়ার অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণ কলোনিতে রাতের অন্ধকারে পুকুর ভরাট করে বহুতল নির্মাণ চলছিল।


স্থানীয় শাসক দলের কাউন্সিলর বিউটি হালদার ও তাঁর স্বামী বিপ্লব হালদার ৪০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পুকুর ভরাটে প্রত্য়ক্ষ মদত দেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় স্থানীয় বিধায়ক ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারপার্সনের কাছে অভিযোগ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। 


স্থানীয় এক বাসিন্দা রানু দাস বলছেন, আমরা নিজেরা দেখি। তারপরে আমাদের এই কবি মুকুন্দ দাস অঞ্চলের সমস্ত মানুষের ইচ্ছায় ও তাঁদের কথায় চেয়ারপার্সনে ও ব্রাত্য় বসুকে জানাই। প্রোমোটার ও প্রোমোটারের সঙ্গে যারা দুষকৃতীকারী মানুষ অসামাজিক মানুষ জড়িত। তাঁরা প্রোমোটারের ঘাড়ে বন্দুক রেখে এটা করছেন।


অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর শুক্রবার ভরাট হওয়া পুকুরের মাটি তোলা হয় দক্ষিণ দমদম পুরসভার তরফে। দক্ষিণ দমদম পুরসভা চেয়ারপার্সন কস্তুরী চৌধুরীর কথায়, অভিযোগটা এসেছে আমার কাছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষ্মীনগর কলোণীতে পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এলাকার বহু মানুষ স্বাক্ষর করে পাঠায়। অভিযোগটা পাওয়া মাত্রই আমি আমার ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠিয়ে অভিযোগ দেখতে বলি। ফিরে এসে রিপোর্ট দেয়। দেখতে পাই পুকুর ভরাট হচ্ছে। জেসিবি পাঠিয়ে মাটি তুলিয়ে দেই।


যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর ও তাঁর স্বামী। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিউটি হালদারের দাবি, আমাকে পুরসভা থেকে কোনওরকম কোনও খবর দেওয়া হয়নি। আমি কাউন্সিলর আমার কাছে কোনও নোটিস পাঠানো হয়নি মাটি তোলা হবে। আশেপাশের কারা পিটিশন দিয়েছেন আমি জানি না। আমার কাছে কেউ আসেননি। আমার কাছে কোনওরকম চিঠি তাঁরা জমা দেননি।


তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী বিপ্লব হালদারের কথায়, জলাশয় ভরাটের ব্য়াপারে আমি আমরা কিছু জানতাম না। সকাল বেলায় খবর পেলাম। পুরসভা জানায়নি যে পুকুর ভরাট হচ্ছে। আমরা জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের প্রচারক। আমরা চাই না কোনও পুকুর ভরাট হোক। যে কোনও অভিযোগ কারুর বিরুদ্ধে একটা করা যায়।


শাসক দলের কাউন্সিলরের মদতে পুকুর ভরাটের অভিযোগ এবং তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার পুকুর ভরাট বন্ধ করা ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে এলাকায়।