সুনীত হালদার, হাওড়া: ভোটে জয়ের পর জয়ী দলের তরফে দেদার মিষ্টি বিলোতে দেখা যায়। কিন্তু হারের পরে মিষ্টি বিলি? তেমনই দেখা গেল হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড়ে। মিষ্টি বিলি করে গাঁধীগিরি করল সিপিএম। দলের তরফে জানানো হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে কারচুপি এবং লুটের প্রতিবাদে সিপিএম কর্মীরা মিষ্টিমুখ করিয়েছেন।
রবিবার সকালে ডোমজুড়ের লক্ষ্মণপুরে সিপিএম কর্মীরা পথচলতি বাসিন্দাদের লাল রসগোল্লা খাওয়ান। যাতায়াতের পথে হঠাৎ মিষ্টি পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ। সিপিএম বলছে, এটা এক ধরনের গাঁধীগিরি। মিষ্টি বিলি করেই প্রতিবাদ করা হয়েছে।
ডোমজুড়ের মাকড়দহ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটের দিনে বুথ জ্যাম এবং ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ছিল সিপিএম কর্মীদের, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। ভোট গণনার দিনও ডোমজুড়ের গণনা কেন্দ্রে ব্যাপক কারচুপি করা হয় বলে অভিযোগ। লক্ষ্মণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সিপিএম প্রার্থী শ্রীকুমার নস্কর অভিযোগ করেছিলেন, যে গণনার দিনে তিনি ভোটে জিতে গেলেও তাঁর সার্টিফিকেট কেড়ে নেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁকে এবং তাঁদের কাউন্টিং এজেন্টদের বেধড়ক মারধর করা হয়। জোর করে সার্টিফিকেট কেড়ে নেওয়ার পর তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শুধু ওই বুথেই নয়, ডোমজুড়ের অন্যান্য বুথেও একই ধরনের পরিস্থিতির কথা বলেন অন্য সিপিএম প্রার্থীরা। এরই প্রতিবাদে ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার ১২ দিন পর পথে নামেন সিপিএম কর্মীরা। রবিবার সকালে প্রায় ছয় হাজার লাল রসগোল্লা বিলি করেন সিপিএম কর্মীরা। সিপিএম কর্মীরা জানিয়েছেন মানুষকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন, কারণ তাঁরা সিপিএমকেই ভোট দিয়েছিল। কিন্তু জিতে যাওয়ার পর তাঁদের সার্টিফিকেট জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়। যেহেতু মানুষের ভোটে তাঁদের জয় হয়েছিল তাই মিষ্টি খাওয়ানো হচ্ছে। করাচ্ছেন। সিপিএম ও বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূল কর্মীরাও মিষ্টি খেয়েছেন বলে দাবি সিপিএমের।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য সিপিএমের (CPIM) যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের বক্তব্য প্রচারে আসার জন্য সিপিএম এই ধরনের অভিযোগ করছে। যা পুরোপুরি মিথ্যে। সন্দেহ থাকলে গণনা কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষার দাবিও করেছে তারা। আদালতের দ্বারস্থ না হয়ে সিপিএম মিথ্যে কথা বলছে বলেও তৃণমূলের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: দুই সন্তানকে নিয়ে শৌচাগারে ঢুকেছিলেন, বেরোতেই অ্যাসিড হামলার শিকার, রায়নায় দগ্ধ গৃহবধূ