সুনীত হালদার, হাওড়া: ডোমজুড়ে (Howrah News) ভয়াবহ ডাকাতির ২ দিন পার, এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। থানার ৭০০ মিটারের মধ্যে প্রকাশ্য দিবালোকে ভয়াবহ ডাকাতি। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সোনার দোকানে ঢুকে লুঠপাট। মুখ ঢেকে নয়, খোলা রেখেই বেপরোয়া তাণ্ডব চালানোর পরেও অধরা দুষ্কৃতীরা। যা নিয়ে আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের তরফে ডোমজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। 


এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা: ২ দিনের ব্যবধানে রাজ্যে জোড়া ডাকাতির ঘটনা। রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার হলেও, ডোমজুড়ে সোনার দোকানের লুঠের দু'দিন পরেও অধরা দুষ্কৃতীরা। দুটি জায়গাতেই থানার কাছে ভরদুপুরে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। রানিগঞ্জে সেনকো গোল্ডের শোরুম এবং ডোমজুড়ে MS জেমস অ্যান্ড জুয়েলার্স সন্সে ডাকাতির ঘটনায় মিলেছে বিহার ও ঝাড়খণ্ড যোগ রয়েছে। রানিগঞ্জের ঘটনায় এখনও বিহার ও ঝাড়খণ্ডে তল্লাশি চালাচ্ছে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেট। অন্যদিকে, ডোমজুড়ে সোনার দোকানে যারা হানা দিয়েছিল, তারাও বিহার অথবা ঝাড়খণ্ড থেকেই এসেছিল বলে মনে করছে পুলিশ। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ। 


মঙ্গলবার, বেলা ১২টা ২০ নাগাদ, ডোমজুড়ে ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে ঢুকে লুঠপাট চালায় চার সশস্ত্র দুষ্কৃতী। মাত্র ১৫ মিনিটের অপারেশনে সাফ কয়েক কোটি টাকার গয়না। দোকান মালিক বাবা-ছেলেকে গান পয়েন্টে রেখে মুখ বেঁধে প্রায় ৫ কিলো সোনার গয়না লুঠ করা হয়। গরমের দুপুরে দোকান তখন একেবারে ফাঁকা। বাজার এলাকা থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটও ছিল শুনশান। সেই সুযোগই কাজে লাগায় ডাকাত দল। দোকানে শুধুমাত্র মালিক, তাঁর ছেলে ও এক মহিলা কর্মী ছিলেন। সূত্রের খবর, ওই সময় যে দোকান ফাঁকা থাকে, তা স্থানীয় কোনও টিপারই জানায় দুষ্কৃতীদের। আশেপাশের দোকানের থেকে এম এস জেমস অ্যান্ড জুয়েলার্স সন্সে বেশি গয়া মজুত থাকে, সম্ভবত সে খবরও ছিল তাদের কাছে। দোকান থেকে হাওড়া-আমতা রোড ধরে ৭০০ মিটার দূরে ডোমজুড় থানা। ডাকাতির পর ওই রাস্তা ধরেই এগোয় দুষ্কৃতীরা।থানার প্রায় ৫৫০ মিটার আগে গলি পথ ধরে সোজা ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে গিয়ে ওঠে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Recruitment Scam: নতুন এজেন্টদের হদিশ, অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের জিজ্ঞাসাবাদে নয়া তথ্য