সুনীত হালদার, হাওড়া: পুজোর (Durga Puja 2024) মাথায় হাত প্রায় সাত হাজার শ্রমিকের। বন্ধ হয়ে গেল আরও এক কারখানা। হাওড়ায় বন্ধ করে দেওয়া হল চেঙ্গাইলের ল্যাডলো জুট মিল। শুক্রবার সকালে এই নোটিস ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
বন্ধ হয়ে গেল আরও এক জুটমিল: পুজোর মুখে তালা ঝুলল হাওড়ার দাসনগরের চেঙ্গাইলের ল্যাডলো জুটমিলে। কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় ৭ হাজার কর্মী। কারখানার নিরাপত্তার অভাবের কারণ দেখিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। ফলে পুজোর আগে কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় সাত হাজার শ্রমিক। জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার দুপুরের শিফট চলার সময় পুজোর বোনাস নিয়ে মিলের ভেতরে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অভিযোগ সেই সময় মিলের একাধিক অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। মিলের একাধিক আধিকারিকদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। আর এর পরেই নিরাপত্তার অভাবের কারণ দেখিয়ে মিল কর্তৃপক্ষ মিল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। শুক্রবার সকালে মিলের বাইরের গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ।
গতকালই বন্ধ করে দেওয়া হয় দাসনগর এলাকার এক জুটমিলে। গতকাল সকালে মিলের গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দেখতে পান শ্রমিকরা। অভিযোগ, মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন, INTTUC তাঁত বিভাগের কর্মীদের দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করানোর জন্য চাপ দিচ্ছিল। কর্মীদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধাও নিয়মিত মেলে না বলে অভিযোগ। শ্রমিকদের অভিযোগ, শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের চাপের মুখে নতিস্বীকার তাঁরা করতে চাননি। আর তার জেরেই এই মিল বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে পাল্টা দাবি করেছে মিল কর্তৃপক্ষও। তারা নোটিসে পাল্টা দাবি করেছে, তাঁত বিভাগের কর্মীদের অসহযোগিতায় উৎপাদন মার খাচ্ছিল। INTTUC-র প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। এদিকে কাজ হারিয়ে দিশাহীন অবস্থা কর্মীদের। তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেবেন। তাঁরা চাইছেন আলোচনার মাধ্যমে মিল কর্তৃপক্ষ ফের চালু করুক মিল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Bankura Elephant Attack: বন্যা পরিস্থিতিতে রাতভর বুনো হাতির তাণ্ডব, বিপাকে গ্রামবাসীরা