সুনীত হালদার, হাওড়া: চিকিৎসার ‘গাফিলতি’, ভাঙচুরঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখার অভিযোগ। প্রতিবাদে হাওড়ার (Howrah News) ডোমজুড়ের (Domjur News) একটি নার্সিংহোমে (Howrah Nursing Home) চলল ভাঙচুর। ঘটনায় রোগীর তিন পরিজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
গাফিলতির অভিযোগ রোগীর পরিবারের
শনিবার দুপুরে ভর্তি করা হয়েছিল রোগীকে। কিন্তু সন্ধে পর্যন্ত কোনও চিকিৎসা হয়নি। এই অভিযোগে, নার্সিংহোমে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার ডোমজুড়ে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে পুলিশ বাহিনীকে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয় (Nursing Home Negligence)।
রোগীর পরিবারের দাবি, রক্তবমি হওয়ায় শনিবার দুপুরে বছর চল্লিশের আব্বাসউদ্দিন লস্করকে, আইরিস নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সন্ধে পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় তাঁকে ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। এরপরই রোগীর পরিজনরা নার্সিংহোমে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয় কাচের দরজা।
আরও পড়ুন: Behala : বেহালায় অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার মহিলার পচাগলা দেহ, ৪-৫ দিন আগে মৃত্যু ?
ওই রোগীর ভাই তাহাজুদ্দিন লস্কর জানিয়েছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেলে রাখা হয়েছিল তাঁর ভাইকে। কোনও রকম চিকিৎসা করা হয়নি। তার বিরুদ্ধেি প্রতিবাদ জানান তাঁরা। নার্সিংহোমের ম্যানেজার যদিও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
অন্যদিকে রোগীর পরিবার ভাঙচুরের অভিযোগ মানতে না চাইলেও, ভাঙচুরের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরা প্রত্যেকেই রোগীর পরিজন বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। শনিবার রাতেই রোগীকে SSKM হাসপাতালে নিয়ে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন তিনি।
ভাঙচুরের অভিযোগে ধৃত ৩
এ দিকে বেহালার রাজা রামমোহন রায় রোডে অভিজাত আবাসনের দোতলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার মহিলার পচাগলা মৃতদেহ। ৪-৫ দিন আগে মৃত্যু বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। মৃতের নাম কমলিকা দাশগুপ্ত।