সমীরণ পাল, সোদপুর (উত্তর ২৪ পরগনা) : মৃত্যুর আগে ২২ বছরের তরুণ ফোনে বন্ধুকে বলেছিলেন, আর বাঁচতে চান না। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ওই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ও তাঁর মায়ের দেহ। সোদপুরে মা ও ছেলের রহস্যমৃত্যুতে নতুন মোড়। গতকাল কেয়ার মোড়ে এক আবাসনের একতলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ৬৭ বছরের কামনা সিংহ ও তাঁর ছেলে দত্তাত্রেয়র ঝুলন্ত দেহ।
South 24 Pargana: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাঘিরহাটে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন সরকারি বাসের চালক
স্থানীয় সূত্রে খবর, ছেলেকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন প্রৌঢ়া। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দত্তাত্রেয়র ফোন পেয়ে গতকাল সন্ধেয় এক বন্ধু ও এক বান্ধবী ফ্ল্যাটে এসে ডাকাডাকি শুরু করেন। সাড়া না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা এসে দরজায় সজোরে ধাক্কা মারেন। দেখা যায়, মেঝেতে পড়ে রয়েছেন প্রৌঢ়া। পাশের ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ছেলের ঝুলন্ত দেহ। মৃত্যুর নেপথ্যে কী কারণ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
Nadia: নর্দমা দিয়ে বইছে রক্ত, ঘর থেকে উদ্ধার পচন ধরা ঝুলন্ত দেহ
এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, দত্তাত্রেয়র ওই বন্ধুরা বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া পাননি। এরপর তাঁরা অনুরোধ করে এক পথচারীকে ডেকে আনেন। লাথি মেরে সজোরে ধাক্কা মেরে দরজা খোলার পর মা ও ছেলেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
জানা গেছে, দত্তাত্রেয় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি মেধাবী বলে পরিচিত ছিলেন। তবে তাঁরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করতেন না। তাঁদের আত্মীয়রা অধিকাংশই উত্তর-পূর্ব রাজ্যের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে তাঁদের এক আত্মীয়র সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ।
খড়দা থানার অন্তর্গত সোদপুর কেয়ার মোড়ে একটি আবাসনের ঘর থেকে গতকাল এক প্রৌঢ়া ও তার ২২ বছরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।মা ও ছেলের এই রহস্য মৃত্যু কে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ওই এলাকায়।