সত্যজিৎ বৈদ্য, সাঁকরাইল (হাওড়া): গোটা আকাশ ছেয়েছে কালো ধোঁয়ায়। দাউ দাউ করে জ্বলছে তুলোর (Cotton) গুদাম। ঘটনা হাওড়ার সাঁকরাইলের (Howrah Fire)।


সাঁকরাইলের (Sankrail) এক তুলোর গুদামে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। ইতিমধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বৈদ্যুতিন সামগ্রী, তুলোর গুদাম। সাঁকরাইলের জঙ্গলপুরে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের (fire department) ৪টি ইঞ্জিন (fire engine)। 


হাওড়ার অঙ্কুরহাটি থেকে কাছেই জালান কমপ্লেক্সের উল্টোদিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। ঘটনার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও আগুন নেভানো যায়নি। বরং কমতে থাকে দমকলের ইঞ্জিনের সংখ্যা। এর প্রধান কারণ ওই জায়গায় জলের পর্যাপ্ত উৎস নেই। ফলে ৪টি ইঞ্জিন পৌঁছলেও দমকলের একটিমাত্র ইঞ্জিনই কাজ করতে সক্ষম হচ্ছে।


এটি একটি ইনডাস্ট্রিয়াল এলাকা। একের পর এক কারখানা রয়েছে সেখানে। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হওয়ায় একের পর এক কারখানায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ফলে কারখানার কর্মীদের মধ্যে আশঙ্কা ও উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। 


এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, 'দুপুর ২টো নাগাদ যখন খেতে বসি তখনও কিছু বুঝতে পারিনি। তারপর ২.১০-১৫ নাগাদ দেখি বিল্ডিংয়ে আগুন লেগে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেওয়া হয়।' অপর এক কর্মীর কথায়, 'এর পিছনে গাড়ির গোডাউন। সামনে ওপরে গেঞ্জি আর নীচে তুলোর কারখানা। খেয়ে দেয়ে হঠাৎ দেখি চারিদিকে ধোঁয়ায় ভরে গেছে। তাপ লাগতে থাকে খুব। প্রথমে বুঝিনি। তারপর তো আগুন লেগেছে বুঝি। বের হতে পারছিলাম না, শেষে পিছন দিক দিয়ে পাঁচিল টপকে জঙ্গল দিয়ে এসেছি।'


আরও পড়ুন: R G Kar Hospital : রোগী পাইপ বেয়ে ৪ তলার কার্ণিশে, পরে মৃত্যু, আরজি করে চাঞ্চল্য


আপাতত চেষ্টা চলছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। আশপাশের বাসিন্দারাও আতঙ্কে রয়েছেন। এমনকী এই বিল্ডিংটি যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।