হাওড়া: আগুনের গ্রাসে বারবার যাচ্ছে এরাজ্যের একের পর এলাকা। কখনও সাক্ষী কলকাতা, কখনও উত্তর ২৪ পরগনা, কখনও আবার পুড়ে ছাই শ্যামনগর স্টেশন লাগোয়া ঝুপড়ি। তবে অতীতে এর ভয়াবহ সাক্ষী হয়েছে বিধাননগর এলাকাও। আর এবার বড়দিনের মরশুমে বিধ্বংসী আগুন ছড়াল ডুমুরজলায়। পুড়ে ছাই একের পর এক ঝুপড়ি (Howrah Fire Incident)।


ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কাছে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী আগুন। পুড়ে ছাই অন্তত ৯০টি ঝুপড়ি, পাশের বহুতলেও আতঙ্ক। ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন। আগুন লাগার কারণ এখনও যায়নি। যদিও এই প্রথমবার নয়, চলতি বছরেই আরও একাধিক বার অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছে এই জেলা। সদ্য কিছুদিন আগেই হাওড়ার ঘুসুড়ির প্লাস্টিকের গুদামে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। 


সম্প্রতি হাওড়া ঘুসুড়িতে প্লাস্টিকের গুদামেও ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল।  ফোরশোর রোডের বিজয়শ্রী জুটমিলের গুদামে আগুন লেগেছিল।  দমকল সূত্রে খবর এসেছিল,  প্রচুর পরিমাণে পাট মজুত থাকায় দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে দিয়েছিল গুদাম। দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল আগুন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল পার্শ্ববর্তী এলাকায়।  দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘণ্টাদেড়েক লড়াই চালায়। তারপর  আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল বলে খবর। আর এবার ফের আগুন লাগার ঘটনা ঘটল।


মূলত কারখানা, গোডাউন, শোরুমে আগুন লাগার ঘটনা বাদ দিলে বহুতলে আগুন লাগার ঘটনাও কম নেই। কারখানায় দাহ্য পদার্থ যদি কারণ হয়ে থাকে, শহরের একাধিক বাড়িতেও আগুন লাগার অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রধান খলনায়ক কারেন্টের তার অর্থাৎ শর্টসার্কিট এবং গ্যাস সিলিন্ডার  বাস্ট করে আগুন। অমৃতসরের ওষুধের কারখানাতেও বিধ্বংসী আগুনের ঘটনা ঘটেছিল।ওই ঘটনায় একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, এই কারখানায় প্রায় ১৬০০ শ্রমিক কাজ করে। কারখানায় রাসায়নিক ভর্তি ড্রাম মজুত থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। ৮ ঘণ্টার লাগাতার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল।


আরও পড়ুন, আনন্দপুরে জামাইকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে


চলতি বছরের অগাস্ট মাসে পশ্চিমবঙ্গের বউবাজার এলাকার বহুতলে আগুন লেগেছিল। তবে এক্ষেত্রে কারণটা ছিল ব্যাতিক্রমী। মূলত ওই বহুতলের বেসমেন্টে রাসায়নিকের গুদাম ছিল। সেখানেই আগুন লাগতে উপরের তলার ফ্ল্যাটের আবাসিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল আতঙ্ক। সঙ্কীর্ণ রাস্তায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েছিল দমকল।  কলকাতায় (Kolkata) এই বহুতলটির বেসমেন্টে রয়েছে মূলত রাসায়নিকের গুদাম। উপরের তলায় আবাসন, সেখানে আবাসিকরা রয়েছেন। সাততলা ভবনে বেসমেন্টে রয়েছে গুদাম। সেখানে রয়েছে রাসায়নিকের ড্রাম। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরণ (Exploitation) ঘটেছিল।