সুনীত হালদার, হাওড়া: আজ শিশু দিবসে সরকারি স্কুলের ছোট ছোট পড়ুয়াদের উপহার স্মার্ট ক্লাস রুম। সৌজন্যে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। তারা নিজের গাটের পয়সা খরচা করে ছোট ছোট পড়ুয়াদের জন্য তৈরি করে দিয়েছেন স্মার্ট ক্লাসরুম। হাওড়া জেলায়  ছাত্র ছাত্রীর অভাবে যখন একাধিক প্রাইমারি স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তখন এই ধরনের অত্যাধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা ফের বাচ্চাদের স্কুলমুখি করবে বলে মনে করছেন শিক্ষকেরা। তাই ডোমজুড়ের দক্ষিন ঝাপরদহ মুসলিম পাড়া আপার প্রাইমারি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে খুশির হাওয়া।


প্রতি বছরই এই বিশেষ দিনটিতে শিশুদের জন্য স্কুলটিকে নতুন করে সাজানো হয়। পড়ুয়াদের জন্য নতুন করে ক্লাসরুম সাজানো হয়। এদিনও স্কুলের প্রতিটা দরজা রং করা হয়েছিল নতুনভাবে। এছাড়াও ছোট ছোট করে সাজিয়ে ক্লাস রুমে বসানো হয়েছে খুদেদের। চারিদিকে রংবেরঙয়ের ছবি আঁকানো ছাড়াও দেওয়ালে দেখা যাচ্ছে নামতা। 


ফের বাসের (Bus) বেপরোয়া গতির বলি হতে হল সাধারণ মানুষকে (common people)। দুই বেসরকারি বাসের রেষারেষিতে প্রাণ গেল ২ পথচারীর। সোমবার দুপুরে হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।


বেপরোয়া বাসের বলি ২


একই রুটের দুটি বেসরকারি বাসের রেষারেষির জেরে মৃত্যু হল দুই পথচারীর। আজ দুপুরে ঘটনাটি ঘটে হাওড়া স্টেশনের কাছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শিয়ালদা হাওড়া ময়দান রুটের একটি বেসরকারি বাস একই রুটের অন্য একটি বাসের সঙ্গে রেষারেষি করছিল। জানা গেছে, হাওড়া ব্রিজ থেকে নেমে হাওড়া স্টেশনের দিকে যাওয়ার পথে বাসটি ওভারটেক করতে গেলে কয়েকজন পথচারীকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই পথচারীর।


ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন যাত্রী। আহতকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। পুলিশ ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে। 


অন্যদিকে, আজ সাতসকালে আরও এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিম বর্ধমানের ডামরায় সাইকেল আরোহীকে পিষে দেয় বালি বোঝাই লরি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতের নাম গরিবন ধারি। বয়স ৫৫ বছর। ফের একবার বালি বোঝাই লরির ধাক্কায় সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ডামরা। ঘাতক লরির চালক পলাতক। 


স্থানীয়দের একাংশ ভাঙচুর চালায় কয়েকটি লরিতে। রাস্তায় শুরু হয় বিক্ষোভ। আসানসোল দক্ষিণ থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।