সুনীত হালদার, হাওড়া: ভোট-পরবর্তী বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে নেতা ও কর্মীদের মধ্যে বেধড়ক মারধরের ঘটনা। জখম ৪ বিজেপি কর্মী। আহত বিজেপি কর্মীরা দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে গোলাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির এই হাতাহাতি নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে।


গতকাল উত্তর হাওড়ার সালকিয়া  নন্দীবাগানের একটি প্রেক্ষাগৃহে বিজেপির পক্ষ থেকে দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওই বৈঠকে উত্তর হাওড়া কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর পরাজয় এবং বর্তমান সংগঠনের হাল-হকিকত নিয়ে দলীয় স্তরে আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়। বৈঠক চলাকালীন উত্তর হাওড়ার যুব মোর্চা সভাপতি রাজু দাস এবং বেশ কয়েক জন কর্মী রাজ্য এবং জেলা নেতাদের কাছে সরাসরি কিছু প্রশ্ন করেন। অভিযোগ এরপরে উত্তর হাওড়ার বিজেপির প্রার্থী উমেশ রাই এবং বেশ কয়েকজন দলীয় নেতা ওই ৪ জন কর্মীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদের কিল, চড় এবং ঘুষি মারতে থাকে বলে অভিযোগ।


ঘটনাস্থলে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন হাওড়া সদরের বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা। আহত কর্মীরা পরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে আসেন। সেখানে বুকে যন্ত্রণা নিয়ে বিশ্বনাথ মোদক নামে এক বিজেপি কর্মী ভর্তি আছেন। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর আহত বিজেপি কর্মী গোলাবাড়ি থানায় উমেশ রাই সহ চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বিজেপি সদরের সভাপতি সুরজিৎ সাহা পাল্টা অভিযোগ করেন রাজু দাস গন্ডগোল করে বিজেপির সভা বানচাল করার চেষ্টা করেছিল। তাঁকে আগেই যুব মোর্চার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাত আছে। তার বিরুদ্ধেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হবে।


এদিকে বিজেপির দলীয় কোন্দল নিয়ে কটাক্ষ করেছেন উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। তিনি বলেন, বিজেপির বৈঠকে দলীয় কর্মীদের মধ্যে গন্ডগোল। এটাও ভোট-পরবর্তী হিংসা। তাহলে কি এবার সিবিআই ডাকা হবে? আসলে ভোটের পরাজয় তারা মেনে নিতে পারছে না। আমরা উন্নয়নে আছি। আমাদের গন্ডগোল করার দরকার হয় না।