সুনীল হালদার, হাওড়া: ফুলশয্যার ভোরে আত্মঘাতী (Suicide Groom) হলো বর ।মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) শালিমার (Shalimar) এলাকায়। কেন এমন মর্মান্তিক ঘটনায় নানান প্রশ্ন উঠেছে।  কেন এমন ঘটল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।  নিহতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।


হাওড়ার শালিমার এলাকার যুবক আদর্শ সাউয়ের সঙ্গে গত সাত ডিসেম্বর বিয়ে  হয়েছিল ব্যারাকপুরের বাসিন্দা বর্ষা কুমারীর। প্রেমের বিয়ে নয়, দেখাশোনা করে দুজনের বিয়ের ঠিক করেছিলেন দুই পরিবারের লোকজন। জানা গেছে, পেশায় গাড়ি চালক ছিল আদর্শ সাউ। তাঁর এই বিয়েতে সম্মতিও ছিল । ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল।  দুই পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব সামিল হয়েছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে। গতকাল ছিল ফুলশয্যা।  আজ ভোরে কনে বর্ষা কুমারী ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুমে গেলে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। তিনি ফিরে এসে দেখেন বাসর ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন তাঁর স্বামী আদর্শ।এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন কনে। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন সবাই।  কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে আদর্শ সাউকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। আদর্শর মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। 


কিন্তু কি এমন ঘটনা ঘটলো যে ফুলশয্যার ভোরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন শালিমারের ওই যুবক? বর্ষা কুমারী জানিয়েছেন, সম্বন্ধ ঠিক হওয়ার পর  বিয়ের আগেও তাঁদের ফোনে কথা হত।  এর আগে কোনওদিন এ রকম কিছু ঘটতে পারে, তা তিনি ক্ষুণাক্ষরেও  বুঝতে পারেননি। আজ ভোরে বর্ষা কুমারীকে ফ্রেশ হবার জন্য ওয়াশরুমে যেতে বলেছিলেন আদর্শই। আর তিনি ওয়াশরুমে যেতেই এই ঘটনা ঘটে। পরিবারের লোকেরাও বুঝে উঠতে পারছেন না কেন এ ধরনের চরম পদক্ষেপ নিলেন আদর্শ।


স্বামী ও স্ত্রী দুজনের মধ্যে কারোর কোনও অন্য প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিলো কিনা তা নিয়েও প্রশ্নই উঠছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে   বি গার্ডেন থানার পুলিশ।