হিন্দোল দে, হাওড়া : হাওড়ার (Howrah) ঘুসুড়িতে মদে বিষক্রিয়ার অভিযোগে মৃত্যুর ঘটনায় ৯ জন মৃতের ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলে জানা যাবে মৃত্যুর কারণ। মালিপাঁচঘড়া থানার ঠিক পিছনে মদের ঠেক নিয়ে চলছে বিভাগীয় তদন্ত। কীভাবে পুলিশের নাকের ডগায় চলছিল ব্যবসা, তা নিয়ে উত্তর খুঁজছে পুলিশ। তদন্তের পর এ নিয়ে পুলিশের কারও ভূমিকা থাকলে, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশকে জানানো হলেও তাঁদের তরফে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে ক্রমাগত অভিযোগ স্থানীয়দের। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, হাওড়ায় মদে বিষক্রিয়ায় ১১ জনের মৃত্যুর অভিযোগ।


কী অভিযোগ স্থানীয়দের


বেআইনি মদের ব্যবসার পাশাপাশি ভেজাল মদ তৈরি করা হত বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। গত কয়েকমাসে পুলিশের (Police) কাছে বেশ কয়েকবার অভিযোগ জানানো হয়েছিল বলেও দাবি তাঁদের। মালিপাঁচঘড়া থানার ঠিক পিছনে রমরমিয়ে এই কারবার চলার জন্য পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ স্থানীয়রা তুললেও স্থানীয় বিধায়ক জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁর কিছু জানা ছিল না। তবে তদন্তে যদি পুলিশি গাফিলতির তথ্য সামনে উঠে আসে, তাহলে যাতে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেজন্য জানাবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।


দিনের পর দিন বেআইনি ঠেকে আসর বসত বলে অভিযোগ


স্থানীয়দের দাবি, ভেজাল মদ খাওয়ার পর থেকেই একে একে অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন সকলে। যত রাত বাড়ে, ততই ঢলে পড়তে থাকেন পর পর লোকজন। এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় শোকের চায়া নেমে এসেছে। কান্নার রোল উঠেছে ঘরে ঘরে। একই সঙ্গে স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়মিত ওই বেআইনি ঠেকে আসর বসে। দীর্ঘ দিন ধরেই এমন চলছে। অথচ কারও কোনও হেলদোল নেই। কেন ওই বেআইনি ঠেক ভেঙে দিল না প্রশাসন, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন- 'বিষ' মদে মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে বিজেপি, মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার