সুনীত হালদার, হাওড়া : কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে সংযোগকারী রবীন্দ্র সেতু এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর ভারী যান চলাচলের চাপ কমাতে বিকল্প পরিবহনের ভাবনা রাজ্য পরিবহন দফতরের। রো রো ভেসেলের মাধ্যমে পণ্যবাহী ভারী ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন দ্রুত গঙ্গা পার করানো হবে। সোমবার শালিমার জেটিঘাটে একটি নতুন রো রো ভেসেলের উদ্বোধন করেন পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। 


তিনি জানান, আপাতত এই ভেসেলটি গঙ্গাসাগর মেলার জন্য ব্যবহার করা হবে। রায়চক থেকে কুমড়োহাটি পর্যন্ত যানবাহন পারাপার করানো হবে এর মাধ্যমে।


এই রো রো ভেসেলে একসঙ্গে ৮টি ভারী ট্রাক ও ৫০ জন যাত্রী পারাপার করতে পারবেন। পরবর্তী কালে শালিমার থেকে গার্ডেনরিচ পর্যন্ত এই রো রো ভেসেল চালানো হবে। এজন্য ইতিমধ্যেই দু'টি জায়গায় জেটিঘাট তৈরির জন্য চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে।


পরিবহনমন্ত্রী আরও বলেন, 'হাওড়া ও কলকাতা সংযোগকারী দু'টি ব্রিজে যেভাবে নিত্যদিন যানবাহনের চাপ বাড়ছে, তাতে একাধিক রুটে জেটিঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ প্রয়োজন। কিন্তু সেটি সময়সাপেক্ষ বিষয় হওয়ায় আপাতত রো রো ভেসেলের মাধ্যমেই জল পরিবহনে গতি আনতে চাইছে দফতর।' 


আগামী দিনে আরও একাধিক ভেসেল তৈরির চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।


১৯৯২ সালে চালু হয় ৮২৩ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় হুগলি সেতু। যাকে বিদ্যাসাগর সেতুও বলা হয়। কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে যা অন্যতম সংযোগকারী সেতুও। এই সেতু দিয়ে নিয়মিত বহু গাড়ি যাতায়াত করে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ হাওড়া হয়ে এই সেতু দিয়ে যেমন কলকাতায় প্রবেশ করে, ঠিক তেমনই আবার কাজ শেষে কলকাতা হয়ে এই সেতু দিয়ে নিজের গন্তব্যেও পৌঁছে যান। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বহু পুরনো এই সেতুর খারাপ অবস্থা ধরা পড়ার পর এর সংস্কারকাজও হয়েছে আগে। অন্যদিকে, রবীন্দ্র সেতু গঙ্গাপারের দুই শহরের অন্যতম প্রধান সংযোগকারী। নিত্যদিন অগুনতি মানুষ এই সেতু ব্যবহার করেন। চলে যান চলাচলও। ফলে, এই দু'টি সেতু বহু মানুষের ভাল থাকার সঙ্গে জড়িয়ে। কিন্তু, ভারী ভারী যান চলাচলের চাপে এই দুই সেতুর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা থেকেই যায়। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প ভাবনার উদ্যোগ।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।