সুনীত হালদার, হাওড়া: অন্যদিনগুলির থেকে এতটা আলাদা হবে যে আজ, তা বোধহয় ভুলেও ঠাহর করেননি উলুবেড়িয়ার মৎসজীবী জগন্নাথ বাগ। জালে এবার যা উঠল তা বহুদিন মনে থাকবে। এক, দেড় কেজি নয়। একেবারে তিনকেজি ওজনের রুপোলি ইলিশ ধরা দিয়েছে তাঁর জালে। স্বাভাবিকভাবে আনন্দের অন্ত নেই তাঁর।


 নৌকা নিয়ে গঙ্গায় মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন উলুবেড়িয়ার মৎস্যজীবী


প্রতিদিনকার মতো আজ সকালেও নৌকা নিয়ে গঙ্গা নদীতে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন উলুবেড়িয়ার কালিনগরের মৎস্যজীবী জগন্নাথ বাগ। প্রতিদিন জালে বেশ কয়েকটি ইলিশ ধরা পড়লেও তাঁদের সাইজ ছিল এক কিলো থেকে দেড় কিলো। কিন্তু আজকে তাঁর ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল। জালে একটু বেশি টান পরায় সে মনে মনে অন্য কিছু ভাবেন। জাল তুলতে দেখা যায় তিন কিলো সাইজের বড় ইলিশ। চওড়া হাসি জগন্নাথের মুখে।


চকচকে রুপোলি ইলিশ বিক্রি করে নগদ ৯০০০ টাকা লক্ষী লাভ জগন্নাথের


আর দেরি না করে সে সরাসরি চলে আসেন মাছের পাইকারি বাজারে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ দর কষাকষির পর মাছটির দাম ওঠে তিন হাজার টাকা কেজি। চকচকে রুপোলি ইলিশ বিক্রি করে নগদ ৯০০০ টাকা লক্ষী লাভ জগন্নাথের। এদিন তিনি বলেন, কত কুড়ি বছর ধরে তিনি গঙ্গায় মাছ ধরছেন। আগে দেড় থেকে দু কিলো সাইজের ইলিশ তার জালে ধরা পড়লেও কখনো তিন কিলো সাইজের ইলিশ ধরেননি। এই প্রথম এত বড় সাইজের ইলিশ ধরেছেন। এতে তিনি খুশি।


আরও পড়ুন, বকেয়ার দাবিতে তৃণমূলের দিল্লিতে সমাবেশে 'না' পুলিশের


জগন্নাথ বাগের সঙ্গে অনেকেই আশার আলো দেখছেন নতুন করে


ইদানিং দূষণের কারণে বর্ষাকালে গঙ্গায় ইলিশের আসা-যাওয়া অনেক কমে গেছে। জেলেরা মাছ ধরতে বেড়লেও বেশিরভাগ দিনে তারা খালি হাতে ফেরেন। কিন্তু আজ জগন্নাথ বাগের সঙ্গে অনেকেই আশার আলো দেখছেন নতুন করে। ওদিকে, লক্ষ লক্ষ টাকা দরের তেলিয়া ভোলা মাছ উঠেছে দিঘায়। একটা-দু'টো নয়, একসঙ্গে ৯টি মাছ। প্রায় ৩১ হাজার টাকা কেজি দরে চলছে বিক্রিবাঁটোয়ারা। এক একটি মাছের ওজন প্রায় ২৫-৩০ কেজি। ওড়িশার ধামরা থেকে এক মৎস্য ব্যবসায়ী এদিন দিঘা মোহনায় মাছগুলি নিয়ে আসেন। মাছগুলি পৌঁছানোর পর রীতিমতো হিড়িক পড়ে যায় দিঘা মোহনায়।গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায় এই মাছ।  মন্দার বাজারে এই ধরনের মাছ পেয়ে বেজায় খুশি মৎস্যজীবীরা।