সুনীত হালদার, হাওড়া: হাসপাতালে (Hospital) কার্যত অন্ধকারের মধ্যেই সন্তান প্রসব করলেন এক মা (Mother)। আজ দুপুরে ঘটনাটি ঘটে সাঁকরাইল এর হাওয়াপোতায় হাজী এসটি মল্লিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহের একটা ফেজ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দেয়। ঘণ্টা সাতেক পরে বিদ্যুৎ এলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
অন্ধকারের মধ্যেই সন্তান প্রসব করলেন মা
গতকাল বাউরিয়ার গৃহবধূ রুপা খাতুন (২৬) পরিবারের লোকজনদের নিয়ে সাঁকরাইলের হাজি এস টি মল্লিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হন। তিনি সন্তানসম্ভবা ছিলেন। আজ দুপুরে তার প্রসব বেদনা ওঠার পর তাকে তড়িঘড়ি করে লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল দশটা নাগাদ বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে সমস্যায় পড়েন কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং নার্সরা। সঙ্গে সঙ্গে লেবার রুমে নিয়ে আসা হয় একটি এমার্জেন্সি আলো। কার্যত ওই আলো ব্যবহার করে দ্রুত অপারেশন সারা হয়।
হাত পাখা নেড়ে রোগীকে হাওয়া
দুপুর তিনটে ১০ নাগাদ ওই মহিলা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বিদ্যুৎ না থাকায় দুপুরের তীব্র দাবাদহের মধ্যে সন্তান, মা এবং তার আত্মীয়রা চরম দুর্ভোগে পড়েন। ওই মহিলার আত্মীয়রা হাত পাখা নেড়ে রোগীকে হাওয়া করতে দেখা যায়। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিশুটির বাবা এবং অন্যান্য আত্মীয়রা। শিশুটির বাবা বলেন, তিনি এসেছিলেন প্রসূতিকে উলবেরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কিন্তু এসে শোনেন, অন্ধকারেই বাচ্চার জন্ম দেয় তার স্ত্রী। বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের দুজনের খুব কষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
'স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জেনারেটর থাকা উচিত', কী বার্তা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ?
তিনি আরও বলেন,' ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জেনারেটর থাকা উচিত। কিন্তু তা না থাকায় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মন্ডল দাবি করেন বিদ্যুৎ থাকাকালীন শিশুটির জন্ম হয়। হঠাৎ বিদ্যুতের একটা ফেজ বসে যাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দেয়। তবে তিনি স্বীকার করেন,' ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনও জেনারেটর নেই। নতুন যে বিল্ডিং হচ্ছে তাতে জেনারেটর বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।'