সুনীত হালদার, হাওড়া: ২০ জুলাই রাতে, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছাই হয়ে গেছে হাওড়ার মঙ্গলাহাটের (Howrah Mangla Haat)অসংখ্য দোকান। ব্যবসায়ীদের  মাথায় হাত। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে চড়ছে রাজনৈতিক তরজাও ! এরই মধ্যে,  মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা সোমবার থেকেই ব্যবসা শুরু করতে গেলে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে ব্যবসায়ী সমিতির হস্তক্ষেপে সোমবার বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর হাটে বসবেন কিনা তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


গত কুড়ি জুলাই গভীর রাতে মঙ্গলাহাটের একাংশ বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।  চার হাজারের বেশি দোকান ভষ্মীভূত হয়ে যায় সেইদিন। পুজোর মুখে এই ভয়ঙ্কর ঘটনায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন হাটের ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা।

গত ২১ জুলাই বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মঙ্গলাহাট পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। জেলাশাসকের নেতৃত্বে সেই কমিটি কাজ  করে। আগে ঠিক হয়েছিল হাটের যে অংশ পুড়ে গিয়েছে, সেখান থেকে যাবতীয় জঞ্জাল সরিয়ে দেওয়া হবে যাতে সোমবার থেকে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা ফের বিক্রিবাটা শুরু করতে পারেন। কিন্তু সোমবার সকালে ব্যবসায়ীরা এসে দেখেন, জঞ্জালের স্তুপ এখনো সরানো হয়নি। সেই কারণে ব্যবসায়ীদের একাংশ ক্ষুব্ধ হন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় শনিবার মহরম এবং রবিবার ছুটি থাকায় ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ পুরোপুরি শেষ করা যায়নি। হাটের ব্যবসায়ীদের একাংশ দাবি করে, হাটের যে অংশ পুড়ে যায়নি সেখানে তাদের ব্যবসা করার অনুমতি দিতে হবে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বচসা হয়। তবে ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা প্রশাসনের পাশে রয়েছেন। তারা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেই জঞ্জাল দ্রুত সরাতে চান। যাতে  মঙ্গলবার থেকে হাট চালু করা যায়। এই নিয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুলিশের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন কার্যত ওই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে আছেন ব্যবসায়ীরা।. 


২১ জুলাই ওই অগ্নিকাণ্ডের সময় ব্যবসায়ীদের একাংশ দাবি করেন, হাটের মালিক শান্তিরঞ্জন দে, ছোট দোকানগুলি ভেঙে বহুতল তৈরি করতে চাইছিলেন। সেই কারণে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। শেষমেশ কবে মঙ্গলাহাট খোলে, সেটাই এখন দেখার।