সুনীত হালদার, হাওড়া: সম্পত্তি কর আদায়ে অনলাইন ব্যবস্থা চালু হয়েছিল আগেই। নাগরিকদের সুবিধার জন্য করদান আরও সহজ হল এ বার (Howrah News)। সম্পত্তি কর মেটানো যাবে QR কোড স্ক্যান করেই। করপ্রদানকে (Property Tax) আরও সহজতর করতেই এমন উদ্যোগ হাওড়া পৌরসভার। নয়া পদ্ধতিতেই এ বার থেকে বিল পাঠানো হবে নাগরিকদের কাছে (Howrah Municipal Corporation)।


এ বার থেকে সম্পত্তি করের বিলের সঙ্গেই থাকবে QR কোড


হাওড়া পৌরসভার তরফে জানানো হয়েছে, এ বার থেকে সম্পত্তি করের বিলের সঙ্গেই থাকবে QR কোড। তা স্ক্যা ন করলেই কর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন নাগরিকরা। চলতি এপ্রিল মাস থেকেই এই নয়া পরিষেবা চালু হচ্ছে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাওড়ো পৌরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী।


সুজয়বাবু জানান, সম্পত্তি করের বিলে যেমন পরিবর্তন আনা হচ্ছে, তেমনই পৌরসভা আরও একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে হাওড়া পৌরসভা। তিনি জানিয়েছেন, হাওড়া পৌরসভা এলাকায় যে সমস্ত সম্পত্তি অব্যবহৃত অবস্থায় দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে রয়েছে, সেই ব্যক্তিগত মালিকানাহীন সম্পত্তিগুলিতে মশার উপদ্রব দূর করতে নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করতে হয় পৌরসভাকে।


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: দুধসাদা তাঁবু, ক্যাম্প খাট, স্ট্যান্ড ফ্যান, দু’মাসের জনসংযোগে অভিষেক


হাওড়া পৌরসভা জানিয়েছে, এখন থেকে অব্যবহৃত সম্পত্তি পরিষ্কার করার টাকাও করের বিলে যোগ করে দেওয়া হবে, রিকভারি কস্ট হিসেবে।  অন্য় দিকে, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে তাদের বার্ষিক মূলধনের উপর নির্ভর করে এক শতাংশ হারে কর মেবে হাওড়া পৌরসভা। 
এর পাশাপাশি মিউটেশন পদ্ধতিতেও বদল আনা হচ্ছে। সুজয়বাবু জানিয়েছেন, এতদিন বিভিন্ন বোরো থেকে নানা ফরম্যাটে 'লেটার অফ মিউটেশন' দেওয়া হত। এখন থেকে একটি মাত্র ফরম্যাটেই 'মিউটেশন সার্টিফিকেট' দেওয়া হবে।


মিউটেশন সার্টিফিকেটের ফরম্যাটেও রদবদল


বছর খানেক আগেই হাওড়া পৌরসভার তরফে অনলাইন পরিষেবা চালু করা হয়। তার সুফলও মিলতে শুরু করেছে। এক বছরে পৌরসভার আয় অনেক বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাতে অনলাইন লাইসেন্স থেকে বিভিন্ন খাতেই আয় বেড়ে গিয়েছে তিন থেকে চার শতাংশ। তাতে পৌরসভা পরিচালনা থেকে শহরের উন্নয়নের বরাদ্দ বাড়ানো সম্ভব হবে বলে জানানো হয়। শহরের সংস্কার করতে এ বার আরও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিল হাওড়া পৌরসভা।