সুনীত হালদার,হাওড়া: উলুবেড়িয়া পৌরসভার (Uluberia Municipality) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাণীতবলা খা পাড়ার ভাগাড় থেকে উদ্ধার ১৭ টি মানব ভ্রুণ। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আজ উলুবেড়িয়া পৌরসভার সাফাই কর্মীরা ভাগাড়ে গেলে ওই মৃত ভ্রুণগুলি খুঁজে পায়। ১৭ টি ভ্রূণের মধ্যে দশটি মেয়ে, ৬ টি ছেলে এবং ১ টিকে চেনা যায়নি।


উলুবেড়িয়ার ভাগাড় থেকে ১৭ টি মানব ভ্রুণ উদ্ধার , ১৭ টি ভ্রূণের মধ্যে ১০ টি মেয়ে


উলুবেড়িয়া শহর এলাকায় দেড় কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ৩০ টি বেসরকারি নার্সিংহোম আছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ঐসব নার্সিংহোমের মেডিকেল বর্জ্য হিসাবে ভ্রুণগুলি ওখানে ফেলা হয়। ভ্রুণ গুলি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তির জন্য উলবেরিয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও এমন নৃশংস ঘটনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে বাংলার বুকে। ২০১৯ সালে উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়ায় পুকুরে ভাসমান প্রায় ২৭ টি কৌটো উদ্ধার হয়। আর সেই কৌটো খুলতেই আঁতকে ওঠেন সবাই। ওই কৌটোগুলি খুলতে বেরিয়ে আসে মানব ভ্রুণ। পুকুরে ধারে মাছ ধরতে গিয়েই এই ঘটনার পর্দাফাঁস হয়।তবে দেশের বাইরে এমন ঘটনার উদাহরণ আছে।


আরও পড়ুন, 'ইডি-সিবিআই-কে তথ্য পৌঁছে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ', বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ


দেশের বাইরেও এমন মানব ভ্রণ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে


২০২১ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে থেকেও মানব ভ্রণ উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি, জোহানেসবার্গে বিমানের শৌচাগার থেকে ভ্রুণ উদ্ধার করেন এক সাফাইকর্মী।  ঘটনার জেরে বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয় যাত্রীদের। বিমানের যাত্রার সময় নতুন করে নির্ধারণ করতে হয়। ভয়াবহ ঘটনাটি দক্ষিণ আফ্রিকায় ঘটেছে। অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহন সংস্থা ফ্লাইসাফারি এই খবর দিয়েছে। জানা যায়, ডারবান থেকে খুব সকালেই বিমানটি ছাড়ার কথা ছিল। যাত্রীরা বিমানে উঠে বসেছিলেন। উড়ানের আগে চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে সাফাইকর্মীরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে শৌচাগারে সাফাইয়ের কাজ করছিলেন। তখনই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তাঁরা  টয়লেট আটকে থাকা একটি সন্দেহজনক বস্তু দেখেন। বিমান পরিবহন সংস্থার টেকনিক্যাল কর্মীরা বুঝতে পারেন তা পরিত্যক্ত ভ্রুণের মতো  কিছু একটি জিনিস। যাত্রীদের বিমান থেকে নেমে যেতে বলা হয় । শুরু হয় তদন্ত।