হাওড়া: ফের হাওড়ায় (Howrah News) আবর্জনা ফেলা নিয়ে বিক্ষোভ। বেলগাছিয়ার বদলে জগাছার আরুপাড়ায় অস্থায়ী ভাগাড় তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় হাওড়া পুরসভা। এদিন সকালে ময়লার গাড়ি আটকে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান।
ফের বিক্ষোভ হাওড়ায়: বিপর্যয়ের পর, এক সপ্তাহ পার হতে চললেও, এখনও হাওড়ার বেলগাছিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক তো হয়ইনি, উল্টে, দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। কারও বাড়ি ভেঙে পড়েছে, কারও বাড়িতে ঢুকে গেছে ড্রেনের নোংরা জল। আজ সকালে হাওড়া পুরসভার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে ডাম্পারে করে আবর্জনা ফেলতে গেলে বাধা দেন স্থানীয়রা। ময়লার গাড়ি আটকে চলে বিক্ষোভ। ফলে আবর্জনা না ফেলেই ফিরে যায় পুরসভার গাড়ি। স্থানীয়দের অভিযোগ, জগাছায় ভাগাড় তৈরি হলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হবে। দুর্গন্ধ ও রোগ-জীবাণু ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। ধস-বিধ্বস্ত এলাকার বাসিন্দাদের জগাছায় পুনর্বাসনে আপত্তি নেই, কিন্তু ভাগাড় তৈরি হলে তাঁরা বাধা দেবেন, জানিয়েছেন আরুপাড়ার বাসিন্দারা। অন্যদিকে, ভাগাড়-সঙ্কটে হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে থমকে গেছে জঞ্জাল পরিষ্কারের কাজ।
হাওড়ার বেলগাছিয়ায় রাস্তায় একদিক যেমন ধস নেমে ভেঙে গেছে অন্যদিক বেশ কয়েক ফুট উঠে গেছে। ধসের ফলে রাস্তা বাড়ির টালির চালের সমান উঠে গেছে। ঝিলরোডের পাশাপাশি সি-রোডের ছবিটাও কম ভয়াবহ নয়। এটা হাওড়া পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ড। পর পর পাকা বাড়ি। ঝিলরোডে বিপর্যয়ের জেরে সি-রোডের নিকাশি-ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। ড্রেনের নোংরা জল উঠে এসেছে রাস্তায়। কারও কারও বাড়ির ভিতর পর্যন্ত ঢুকে গেছে নোংরা জল।
এদিকে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে হাওড়া শহরে জঞ্জাল সাফাইতে। গতকাল মঙ্গলবার, হাওড়ার ৫০টি ওয়ার্ডের কোথাও, কোনও জঞ্জাল সাফাই হয়নি। কদমতলা, সালকিয়া, শিবপুর, রামরাজাতলা সর্বত্রই একইচিত্র। রীতিমতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বুধবারও বদল হয়নি পরিস্থিতির। এদিন সকালেও দেখা গেল, বেলুড় মঠের কাছে রাস্তায় পড়ে আছে আবর্জনা। সালকিয়ায় বাঁধাঘাটের কাছেও জঞ্জালের স্তূপ। হাওড়া পুরসভার মেয়াদ ফুরিয়েছে ৬ বছরের বেশি, কাউন্সিলরই তো নেই, কাকে বলব ময়লা সরাতে? প্রশ্ন হাওড়ার পুর-নাগরিকদের। গতকালই হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান, "আড়ুপাড়ার মাঠে জঞ্জাল ফেলা হবে।'' আরুপাড়ায় জঞ্জাল ফেলতে গেলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। যার জেরে আবর্জনা না ফেলেই ফিরে যায় পুরসভার গাড়ি।