সুনীত হালদার, হাওড়া : হাওড়ার আমতায় বাসের সঙ্গে ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ২৫ জন যাত্রী। হাওড়া ঝিকিরা রুটের বেসরকারি বাসকে ধাক্কা মারে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ডাম্পার। গ্রামবাসীরা ছুটে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। প্রথমে সকলকে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার তাঁদের উলুবেরিয়া মহাকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন বাস ও ডাম্পারের চালক। বাস চালক ওভারটেক করতে গিয়ে ডাম্পারে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ ডাম্পার চালকের। এই ঘটনায় এখনও কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ঠিক কী কারণে ওই বাস এবং ডাম্পারের সংঘর্ষ হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জোরকদমের চলছে তদন্ত।
বেপরোয়া গতি এবং ওভার টেক করার জেরে পথ দুর্ঘটনা ঘটার খবর নতুন নয়। হামেশাই এই ধরনের বিপজ্জনক গতিবিধির ফলে সঙ্কটে পড়ে সাধারণ মানুষের প্রাণ। প্রশাসনের তরফে বারংবার সতর্ক করা হলেও, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো কিংবা ওভারটেক করার ব্যাপারে সতর্ক থাকেন না চালকরা। আর তার জেরেই ঘটে যায় ভয়ঙ্কর সব পথ দুর্ঘটনা। জখম হন প্রচুর মানুষ। প্রাণও হারান অনেকেই।
কয়েকদিন আগেই করুণাময়ী যাওয়ার পথে রাজারহাট খালে উল্টে গিয়েছিল যাত্রী বোঝাই বাস
গত শুক্রবারের সকালে ঘটে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। রাজারহাটে খালে উল্টে যায় যাত্রী বোঝাই একটি বাস। এই দুর্ঘটনায় আহত হন কমপক্ষের ৪০ থেকে ৫০ জন। একেবারে রাস্তা থেকে খালে উল্টে যায় যাত্রী বোঝাই ওই বাসটি। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। রাজারহাট-হাড়োয়া খালে বাস উল্টে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, বেড়াচাঁপা থেকে করুণাময়ী আসার পথে উল্টে যায় বাসটি। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রাজারহাট থানার পুলিশ। ঘুমের ঘোরে দুর্ঘটনা কি না, চালক ও খালাসিকে তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই বাসটি বেপরোয়া গতিতেই আসছিল। মনে করা হয়েছে কোনও কারণে হয়তো নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি বাসটি। গতির জেরে কিংবা চালকের ভুলে বাসটি একেবারে ব্রিজের রেলিং ভেঙে খালে পড়ে যায়। বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকেন। তাঁদের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যাত্রীদেরকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।