সুনীত হালদার, উলুবেড়িয়া : বাইকে করে এসে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর (Businessman) টাকা ও গয়নার ব্যাগ ছিনতাই দুষ্কৃতীদের। বাধা দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে গুলি (Businessman Shot by Miscreants) করার অভিযোগ। তাঁর ডান হাতে গুলি লাগে। ব্যাগে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও গয়না ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কে রয়েছেন আক্রান্তের পরিবার ও এলাকার মানুষ।


কীভাবে ঘটল ঘটনাটি ?


গতকাল রাতে উলুবেড়িয়ার যদুরবেড়িয়ার বাহিরতফার ঘটনা। ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুব্রত মাইতিকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে। ব্যবসায়ী যখন বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় পাড়ার মধ্যেই ২টি বাইকে করে আসা ৫ থেকে ৬ জন দুষ্কৃতীর দল তাঁর বাইকটিকে ঘিরে ধরে। ব্যবসায়ী টাকা ও গয়নার ব্যাগ দিতে অস্বীকার করেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। দুষ্কৃতীদের গুলি ব্যবসায়ীর ডান হাতে লাগে। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও গয়নার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। তারা ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের দিকে পালিয়ে যায়। 


এরপর জখম ব্যবসায়ীকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। চিকিৎসার পর গতকাল গভীর রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি এখন বাড়িতেই আছেন। ঘটনার তদন্তে নামে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান পুলিশের পদস্থরা। কিন্তু, ঘটনার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। আতঙ্কে রয়েছেন আক্রান্তের পরিবার সহ এলাকার মানুষ। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। অবিলম্বে পুলিশের টহলদারি বাড়ানোর পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এলাকার একটি বাড়ির সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে দুটো বাইকে দুষ্কৃতীদের পালানোর ছবি।


গত জুলাই মাসে বর্ধমান শহরে পুলিশের জালে ধরা পড়ে ৪ দুষ্কৃতী। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। গ্রেফতার করার পর, তাদের মোডাস অপারেন্ডি জেনে হতবাক হয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, জাতীয় সড়কে ডাকাতি করত দলটি। মূলত টার্গেট ছিলেন ট্রাক বা লরি চালকরা। পুলিশ জানায়,মহিলা সেজে হাত দেখিয়ে লরি বা ট্রাক দাঁড় করাত এক দুষ্কৃতী। সেই সুযোগে পজিশন নিয়ে নিত তার সঙ্গীরা। একজন চালকের কেবিনে উঠে তাক করত বন্দুক। এরপর টাকাপয়সা ছিনতাই করে চম্পট দিত দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ৪ জনই বর্ধমান শহরের বাসিন্দা। তাদের জেরা করে চক্রের বাকিদের সন্ধান চলছে।