সুনীত হালদার,হাওড়া: পথ দুর্ঘটনায় সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃত্যু ( Civic volunteer)। উলুবেড়িয়ায় আবারও পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। গাড়ি ধাক্কায় মৃত্যু সিভিক ভলেন্টিয়ারের।  বছর তিরিশের ওই মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম মিঠুন রায়। বাড়ি ফুলেশ্বর বৈকন্ঠপুরে। উলুবেড়িয়া ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। জাতীয় সড়কে ডিউটি করার সময় সেখানেই  লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের বলে জানা গিয়েছে।


সম্প্রতি বালির (bali) জাতীয় সড়কের (national highway) উপর ভয়াবহ দুর্ঘটনায় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় প্রাইভেট কার (private car)। পুলিশ ও স্থানীয়রা ৬ জনকে বের করতে পারলেও গভীর রাত পর্যন্ত গাড়ির ভিতরেই আটকে থাকেন ২ জন। প্রায় ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় গ্যাস কাটার (gas cutter) দিয়ে গাড়ির চূর্ণবিচূর্ণ (damaged) অংশ থেকে কেটে উদ্ধার করা হয় দুজনকে। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক বালি নিশ্চিন্দার মাইতি পাড়া ব্রিজের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। রাত দশটা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থেকে একটি প্রাইভেট গাড়িতে করে আট জন ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বারাসাতের দিকে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি মাইতি পাড়ার ব্রিজের কাছে জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে আচমকা পিছন থেকে এক বড় ট্রেলার তাকে সজোরে ধাক্কা মারে। তীব্র অভিঘাতে সেটি চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। ভিতরেই আটকে পড়েন ৮ যাত্রী। পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দারা ছ' জনকে বের করতে পারলেও গভীর রাত পর্যন্ত দুজন গাড়ির ভেতরেই আটকে পড়ে ছিলেন। অবশেষে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত তিনটে নাগাদ গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়ি কেটে উদ্ধার করা হয় তাঁদের। আশার কথা একটাই। যাত্রীদের কারও আঘাতই তেমন গুরুতর নয়। তবে যে ভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে তাতে উনিশ-বিশ হলে আট জনের কী পরিণতি হতে পারত ভেবেই শিউরে উঠছেন পরিজনেরা।


আরও পড়ুন, 'মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে ২-৩ বছর লাগবে পর্ষদের', নিয়োগ মামলায় কী বললেন বিচারপতি ?


হাওড়া-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে সড়ক দুর্ঘটনার খবর এখন নিত্য পরিচিত হয়ে উঠেছে। বালির ক্ষেত্রে মর্মান্তিক পরিণতি এড়ানো গেলেও সব সময় বরাত সহায় হয় না। যেমন গত অক্টোবরে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় মা এবং মেয়ের। উলুবেড়িয়ার  জগৎপুর জোড়াকলতলায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ওই মর্মান্তিক ঘটনায় জানা, একটি অ্যাম্বুলেন্স ধাক্কা দিয়েছিল দুজনকে। ঘটনার দিন সকালে মেয়েকে বৃত্তি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন মা। তখনই ওই দুর্ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানিয়েছিলেন, দুজনে তখন রাস্তা পার হচ্ছেন। ঠিক তখনই দ্রুত গতিতে আসা একটি ফাঁকা অ্যাম্বুলেন্স তাঁদের ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। তার পর স্থানীয় বাসিন্দারা দেহ দুটি আটকে রেখে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ঘাতক অ্যাম্বুলেন্সটিও। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ।