কলকাতা:  হাওড়া জেলার ডোমজুড়ের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় (Domjur Gold shop Robbery Case) বিহার থেকে গ্রেফতার কলকাতায় আনা হয়েছে মূল চক্রী আশা মাহাতো ওরফে চাচিকে। একমাসের মধ্যে এই ডাকাতির ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গে আনতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, ওই কুখ্যাত ডাকাতরানীকে চাচি নামেই ডাকত তার দলের লোকজন ও অন্যান্য অপরাধীরা। যদিও আশা মাহাতো নামে ওই মধ্যবয়সী মহিলার দাবি, সে ডোমজুড়ের ডাকাতির মামলা সম্পর্কে কিছুই জানে না। চাষাবাদ নিয়েই থাকে। যদিও পুলিশ বলছে অন্য কথা।


বৃহস্পতিবার ওই 'চাচি ৪২০' সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য দিল হাওড়ার পুলিশ কমিশনারেট। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, কোথায় আর কীভাবে ডাকাতি হবে তা ঠিক করে দিত আশা মাহাতো নামে ওই মহিলাই। তারপর যেখানে ডাকাতি হবে সেখানকার রেকি থেকে আরম্ভ করে ডাকাতির পর পালানোর রাস্তা সমস্ত কিছুই ঠিক করে দিত সে।


আরও পড়ুন: Jayanta Singh: আগে থেকেই পুলিশের খাতায় নাম জয়ন্তর, পাঁচবার গ্রেফতার হয়েছেন, কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস রাজ্যের


আগে আশা মাহাতো নামে ওই মহিলা সুবোধ সিংহের গ্যাংয়ের হয়ে কাজ করত। পরে নিজের দল তৈরি করে ডাকাতির কাজ শুরু করে। রেকি ও পালানোর রাস্তা ঠিক করে দেওয়ার পাশাপাশি লুঠের সমস্ত মাল বিক্রির ব্যবস্থাও চাচি নিজেই করত বলে দাবি পুলিশের। তার সাজানো ব্লুপ্রিন্ট অনুযায়ী, বিহারের গণ্ডি পেরিয়ে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড কিংবা পশ্চিমবঙ্গে ডাকাতি করতে আসত দলের সদস্যরা। তারপর চাচির নির্দেশ মতো লুঠের মালের ব্যবস্থা করে ফের ফিরে যেতে নিজেদের ডেরায়। সম্পূর্ণ বিষয়টা বিহার থেকেই নিয়ন্ত্রণ করত হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের হাতে ধৃত ডোমজুড়ের ডাকাতি কাণ্ডে ধৃত আশা মাহাতো। 


পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, জুন মাসের ১১ তারিখ ধৃত চাচির করে দেওয়া পরিকল্পনা অনুযায়ীই দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ডোমজুড়ের একটি সোনার দোকানে স্বশস্ত্র অবস্থায় ঢুকে পড়ে চার ডাকাত। তারপর দোকানের মালিক ও কর্মীদের গান পয়েন্টে রেখে লুঠপাট চালায়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Jayanta Singh Update: দুধসাদা অট্টালিকা, বাড়ির সামনে গাড়ি-বাইক, আড়িয়াদহর জয়ন্তর আয়ের উৎস কী?


আরও পড়ুন: