ভাস্কর ঘোষ, হাওড়া: ডাকাতির গল্প (Robbery) ফেঁদে প্রায় চল্লিশ লাখ টাকা নিয়েও শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেল এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) বেলুড় থানার (Belur Police Station) অন্তর্গত ৭৭ নম্বর গিরিশ ঘোষ রোডে। পাঁচ ঘন্টার মধ্যেই এই ঘটনার কিনারা করে ফেলল পুলিশ।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লোহার ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভূমনা আজ দুপুর বারোটা নাগাদ বেলুড় থানায় এসে অভিযোগ করেন যে,  তাঁর অফিসের কর্মচারীরা তাঁকে জানিয়েছে, কয়েকজন দুষ্কৃতী অফিসে ঢুকে চুরি ও অস্ত্র দেখিয়ে প্রায় চল্লিশ লাখ টাকা লুঠ করে নিয়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।ডিসিপি নর্থ অনুপম সিংয়ের নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে আসে। অনুপম সিং জানান, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একজনের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। পুলিশি জেরায় একজন স্বীকার করে সে ডাকাতির গল্প ফেঁদেছিল। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় কয়েকজন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁরা জড়িত কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও পড়ুন, ফের শ্যুটআউটের প্ল্যান ? বিপদ এড়াল মুর্শিদাবাদ, বড় সাফল্য পুলিশের


গত বছরের শেষে, ঠিক অনেকটাই এর উল্টো ঘটনা ঘটেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতির অভিযোগ ওঠে ডিসেম্বরে। পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত তপনার মোড়ে আনুমানিক রাত পৌনে দুটো নাগাদ একতালা বাড়ির সদর দরজা ভেঙে বাড়ির ভেতরে ঢোকে ডাকাত দল ।  দরজা ভাঙার শব্দ শুনতে পেয়ে সুমন মন্ডল যিনি পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তিনি দরজার দিকে তাকিয়ে, কে এসেছে জানতে চাইলে, বাইরে থেকে ডাকাত দল নিজেদের 'পুলিশ' পরিচয় দেয়। এদিকে কথা শেষ হতে না হতেই ১৫ জনের ডাকাত দল সদর দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। বাড়ি সদস্যদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে নগদ টাকা ও মূল্যবান গহনা সমেত লক্ষাধিক টাকার দ্রব্যাদি লুট করে নিয়ে চলে যায়। ডাকাত দলের প্রত্যেকের মুখ বাধা ছিলো রুমাল দিয়ে। রাতেই বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও তপনা মোড়ের সিসিটিভি অকেজো থাকায় কার্যত কোন কাজেই লাগেনি সিসিটিভি। ঘটনার পর তদন্তে নামে বিষ্ণুপুর থানার তদন্তকারী আধিকারিকেরা।