আশিষ বাগচি, মুর্শিদাবাদ: রাজ্যে সদ্য ঘটে গিয়েছে আসানসোল শ্যুটআউট (Asansol Shootout) । এবং তোলপাড় হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur Shootout) গোয়ালপোখরে ঘটনা। তারপর পরই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর-সহ একাধিক জায়গায় উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। আর এবার নাম উঠল ফের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার। 


পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে মুর্শিদাবাদে ফের অস্ত্র উদ্ধার। বেলডাঙার মির্জাপুর থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র এবং গুলি। গ্রেফতার করা হয়েছে আশারুল খান নামে এক দুষ্কৃতীকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের কাছে থেকে উদ্ধার ১ টি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালানোর সময় অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কিন্তু কী করে এই অস্ত্র জেলাগুলিতে আসছে ? কোথা থেকেইবা আসছে ? পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রশ্নগুলি খোঁচা দিচ্ছে। যদিও এনিয়ে পাল্টা বিজেপি শাসিত রাজ্যকেই দায়ী করেছে শাসকদলের হেভিওয়েট।  গতবছর হরিদেবপুরকাণ্ডের পর ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, 'অস্ত্র আসছে বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ থেকে।'


চলতি মাসের মাঝামাঝিই আসানসোলে হোটেলে হাড়হিম করা শ্যুটআউটের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। হোটেলে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মালিককে পরপর গুলি করা হয়। আসানসোলে পুলিশ লাইনের পাশেই রয়েছে ওই হোটেল। সেখানে ঢুকে মালিককে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। হোটেলের লাউঞ্জে বসে ব্যবসা সংক্রান্ত আলোচনার সময় আচমকা পরপর গুলি করা হয়। শহরের বুকে অভিজাত হোটেলের মালিককে পরপর গুলির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এদিকে এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) গোয়ালপোখরের (Goalpokhor) মদিনাচকে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে। ছররা গুলিতে মৃত্যু হয় একজনের।


আরও পড়ুন, মিড ডে মিলে টিকটিকির পর এবার মিলল শুঁয়োপোকা !


স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাজ্য সড়কের পাশে মাদিনাচকে স্থানীয় লোকজনের ভিড় ছিল। হঠাৎ কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে তাঁদের ওপর ছড়রা গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মহম্মদ আরিফ নামে বছর ২৪-এর এক যুবক। আহত হন এক মহিলা সহ তিন জন। সঙ্গে সঙ্গে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের। সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় আরিফকে। তবে মুর্শিদাবাদে একাধিকবার এই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।  এদিকে এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোট। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর এখন অতি সক্রিয় রাজ্য পুলিশ। তাই বড় কিছু অঘটনের আগেই রক্ষা পেল মুর্শিদাবাদ।