সুনীত হালদার,হাওড়া: হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার আড়াই কোটি টাকার বেশি অর্থ মূল্যের সোনা। আটক এক রেলযাত্রী। রেল পুলিশ সূত্রে খবর,  ললিত কুমার নামে ওই ব্যক্তি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের বাসিন্দা। আরপিএফ এর পক্ষ থেকে সমস্ত সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।


আরও পড়ুন, বেপরোয়া গতিই কাড়ল প্রাণ, বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু দম্পতির


রেলপুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধ্যায় ডাউন শ্রী সত্য প্রশান্তি নিলায়ম হাওড়া এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে পৌঁছায়। ট্রলি ব্যাগে নিয়ে এক যাত্রী সন্দেহজনক ভাবে প্লাটফর্ম দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করলে তাকে হাতেনাতে ধরে আরপিএফ জওয়ানরা। ধৃতের ব্যাগ তল্লাশি করলে ৫ কিলো ১৩৫ গ্রাম সোনা উদ্ধার করে আরপিএফ জওয়ানরা। যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৬২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়াও তার কাছ থেকে নগদ ৪৭,০০০ টাকা উদ্ধার হয়। বছর ৫৭-র ললিত কুমার নামে ওই ব্যক্তি সোনার কোন প্রমাণপত্র দাখিল করতে না পারায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে আরপিএফ এর আধিকারিকরা।


আরপিএফ সূত্রে খবর ললিত কুমার নামে ওই ব্যক্তি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের বাসিন্দা। তার কলকাতাতেও সোনার দোকান আছে। উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরের দুই বড় সোনার দোকানের মালিকের কাছ থেকে সোনার অর্ডার পেয়ে দক্ষিণ ভারত থেকে সোনা নিয়ে ভুবনেশ্বরে যান। কিন্তু দুই দোকানদার অর্ডার বাতিল করেন। ফলে সে সোনা নিয়ে কলকাতায় ফেরার পথে হাওড়া স্টেশনে ধরা পড়েন। যদিও এই  ঘটনার পুরো তদন্ত করছে রেল পুলিশ। আদৌ ওই ললিত কুমার নামে ওই ব্যক্তির কথা সত্যি কিনা, নাকি এটা কোনও সীমান্ত হয়ে আসা পাচারের সোনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। 


মূলত বেল্টের মাঝে, ট্যাবলেট বানিয়ে, পেনের রিফিলে নানা মূল্যবান জিনিস লুকিয়ে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চোরাপাচার করতে গিয়ে সীমান্তে এবং বিমানবন্দরে একাধিকবার ধরা পড়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেগুলি সবই লোকচক্ষুর আড়াল করলেও কাস্টমের চোখ ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার রেলপুলিশের কাছেও ধরা পড়ল এই বিপুল অঙ্কের সোনা। তবে ঘটনার তদন্তে উড়িষ্যার ভুবনেশ্বের ওই দুই বড় সোনার দোকানের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে কিনা, সেবিষয়ে এখনও কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।