হাওড়া: হাওড়া-আমতা লোকাল ট্রেনের (Howrah Local Train) বেলাইন হওয়ার ঘটনায় চরম ভোগান্তির সামনাসামনি হতে হল এক আহতকে। কাটা পা নিয়েই ঘুরতে হল একের পর এক হাসপাতাল (Hospital)। বেলা সাড়ে ১২টায় ট্রেন থেকে পড়ে কার্যত দুভাগ ডান পা। স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাওড়া হাসপাতাল ঘুরে বিকেল সাড়ে ৫টায় এসএসকেএমে অস্ত্রোপচার।
এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন ওই আহতের পরিবার। অভিযোগ, 'অস্ত্রোপচার করেই গুরুতর আহতকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার বিধান এসএসকেএমের।' এদিন জগৎবল্লভপুরে বেলা ১২.৩০টায় লাইনচ্যুত হাওড়া-আমতা লোকাল ট্রেন । মাজু স্টেশনে ঢোকার মুখে লোকালের ৩টি কামরা বেলাইন হয়। আর এই ঘটনায় আহত হয় একাধিক। এরই মধ্যে এক আহতকে মুখোমুখি হতে হল চরম অমানবিক ঘটনার সঙ্গে বলে অভিযোগ। সঙ্কটজনক অবস্থায় আহতকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ জানিয়েছে ওই পরিবার।
অভিযোগ, 'ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ার পরেও দেখা মেলেনি পুলিশ-প্রশাসনের। ফোনে খবর পেয়ে টোটোয় করে কাটা পা নিয়েই আনা হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। আধঘণ্টা ঘটনাস্থলে পড়ে থাকার পরে পরিচিতরাই নিয়ে যান স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে পুলিশ এসে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে নিয়ে যায় হাওড়া হাসপাতালে। হাওড়া হাসপাতাল থেকে এসএসকেএমে রেফার, সেখানেও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। এসএসকেএমে অস্ত্রোপচারের পরেই বাড়ি ফিরতে বলার অভিযোগ। পরে জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ২দিন এসএসকেএমে রাখার অনুমতি।'
প্রসঙ্গত, এটা প্রথমবার নয়, নিশ্চিন্তের ঘুমের মাঝে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার উদাহরণ রয়েছে ভুরিভুরি। রক্তাক্ত হয়েছে রেল লাইন। কিন্তু সেতো বিপুল বেগে ছুটে আসা দুরপাল্লার ট্রেন। না এমনটা মোটেই নয়, দুর্ঘটনার মুখোমুখী হওয়ার ঘটনাও রয়েছে লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রেও। এমন অভিজ্ঞতার সামনা সামনি হয়েছে শিয়ালদা, বর্ধমান-সহ রাজ্যের আরও একাধিক জেলা।
আরও পড়ুন, বিয়েবাড়ির সামনে রাস্তা বন্ধ করে উদ্দাম নাচ, প্রতিবাদে বেধড়ক মার স্থানীয়দের
চলতি মাসের শুরুতেই এমনই একটি উদাহরণ রয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ( South Eastern Railway ) হাওড়া-খড়গপুর ( Howrah Kharagpur ) শাখায় গিরি ময়দান স্টেশনে লাইনচ্যুত হয়েছিল লোকাল ট্রেন। সকাল ১১টা ৪২ মিনিটে গিরি ময়দান স্টেশন ছাড়ার পরেই, লাইনচ্যুত হয়েছিল হাওড়ামুখী মেদিনীপুর লোকাল। জানা যায়, একটি বগিই লাইনচ্যুত হয়। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রেলের আধিকারিকরা। কী কারণে দুর্ঘটনা, খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু রেলের সর্বত্র ইঞ্জিনিয়াররা সতর্ক থাকলেও ফের অঘটনের ঘটনা প্রকাশ্যে এল।