সুনীত হালদার, হাওড়া: 'খুনের' আসামীকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত বিহার এসটিএফ-র পুলিশ (Bihar STF)। আসামীর উপর ৪ জনকে খুন করার অভিযোগ। অভিযানের সময়, আগ্নেয়াস্ত্র (Fire Arms) ছিনিয়ে নিয়ে হামলা করার চেষ্টার অভিযোগ। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। বিহারে (Bihar) একটি মাছের ভেড়ি নিয়ে গন্ডগোলের জেরে খুন হয় চারজন। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ। তবে অন্যতম অভিযুক্তই ফেরার ছিল। এবার ধরা পড়ে গেল বিহারের কুখ্যাত অপরাধী নবীন কুমার ঝা। 


জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল অন্যতম অভিযুক্ত বিহারের মধুবনীর বাসিন্দা বছর ২৬-র নবীন কুমার। বিহার পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স তাঁর সন্ধানে তল্লাশী শুরু করে। জানতে পারে হাওড়া কোনা এক্সপ্রেস ওয়ে সংলগ্ন, কোনা ট্রাক টার্মিনালে সে, গা ঢাকা দিয়ে আছে। আজ আচমকা অভিযান চালায় বিহার এসটিএফ টিম। নবীনকে ধরতে গেলে এসটিএফ-র সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পুলিশের থেকে বন্দুক ছিনিয়ে গুলি চালানোর হুমকি দিতে থাকে সে। ঠিক যেনও হিন্দি সিনেমা। এরপর তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেয় পুলিশ। তখন এসটিএফ-র এক অফিসারের ওপর আক্রমণ করে নবীন। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কর্মরত কোনা ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ। ধরে ফেলা হয় ওই অপরাধীকে।ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।


সম্প্রতি এন্টালিতে তরুণীকে গলা কেটে নৃশংস খুনের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিহার থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এফআইআরে নাম ছিল ধৃত প্রেম রায় ও মুন্না রায়ের। বিহারের (Bihar) দ্বারভাঙা জেলার তারিয়ানি এলাকা থেকে দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়। ধৃতদের কলকাতায় আনা হয়।  বিহারের মধুবনি থেকে চিকিৎসা করাতে কলকাতায় আসেন ১৮ বছরের অঞ্জলি কুমারী। এন্টালি থানার শিয়ালদা স্টেশন সংলগ্ন রেলের একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে তাঁর গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। মূলত বিহার থেকে চিকিৎসা করাতে এসে এন্টালিতে তরুণী খুন হন। শিয়ালদা স্টেশনের সামনে রেলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয় গলা কাটা দেহ।


আরও পড়ুন, সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে !


৩ পরিচিতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়। কলকাতায় চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে যাবেন নিজের রাজ্যে। সেজন্য বিহার থেকে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু আর ফেরা হল না। এন্টালিতে রেলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে খুন হয়ে যান সেই ১৮ বছরের তরুণী। খুনের নেপথ্যে কি পরিচিত কেউ? মৃতার এক আত্মীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। চিত্তরঞ্জন কুমার নামে মৃত তরুণীর এক  আত্মীয়ের অভিযোগ, ঘটনায় হাত রয়েছে ৩ পরিচিত ব্যক্তির। কিন্তু কী কারণে এই খুন? তদন্তে এন্টালি থানা ও লালবাজারের হোমিসাইড শাখার পুলিশ। ৩ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে।