সুনীত হালদার, টিকিয়াপাড়া: বাড়ি থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে নিখোঁজ শিশুর (Child) মৃতদেহ উদ্ধার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়ায় (Bankra)। অপহরণ করে খুন করা হয়েছে কি না, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে বাড়ির সামনে খেলছিল একরত্তি। সিসি ক্যামেরায় (CCTV) বন্দি সেই ছবি। তারপর থেকেই নিখোঁজ চার বছরের এক শিশু। তন্নতন্ন করে গোটা এলাকায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার বাড়ি থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হল মৃতদেহ।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, সোমবার বিকেলে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর শিশুর ছবি সহ পোস্টার দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়। মঙ্গলবার টিকিয়াপাড়ার (Tikiapara) নির্মীয়মাণ মার্কেটের (Market) রিজার্ভারে তার মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। টিকিয়াপাড়ার বাসিন্দা ইমরান খানের (Imran Khan) অভিযোগ, “পরিত্যক্ত এই জায়গায় অসামাজিক কাজ হয়। পুলিশ তদন্ত করুক।’’ কিন্তু এত দূরে শিশুটি গেল কী করে? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। অপহরণ করে খুন করা হয়েছে কি না? নেপথ্যে কারা? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দিনকয়েক আগে পুরুলিয়ার (Purulia) বেলগুমা পুলিশ লাইনে (Belguma Police Line) স্পেশাল হোমগার্ডের (Special Home Guard)) রহস্যমৃত্যু (Death)। পারিবারিক বিবাদের জেরে ছেলেকে (Son) মেরে আত্মঘাতী স্পেশাল হোমগার্ড, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা হয় পুলিশের (Police)। কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয় আত্মসমর্পণকারী প্রাক্তন মাওবাদী হেমন্ত হেমব্রম ও তাঁর ৬ বছরের শিশুপুত্রের রক্তাক্ত দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, হেমন্ত হেমব্রমের বাড়ি আড়ষায়। ২০১২ সালে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের পর, স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি পান হেমন্ত। স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে থাকতেন বেলগুমা পুলিশ লাইনে। কীভাবে মৃত্যু, তার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছে পুলিশ।
জানা যায়, নিহত ওই স্পেশ্যাল হোমগার্ডের স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। এদিনও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, এরপর সোমজিৎ হেমব্রম নামে নিজের ছয় বছরের সন্তানের গলা কেটে খুন করেন হেমন্ত। পরে নিজের গলাতেও ছুরি বসিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। তাঁর স্ত্রী ও এক আত্মীয় হাজারাও হেমব্রম এই দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: Tarapith: তারাপীঠে প্রবেশে নিয়ম শিথিল, খুলল সোনাঝুরির খোয়াই হাটও