সুনীত হালদার, হাওড়া: ঘরে আগুন লেগে মৃত্যু এক মহিলার। আহত স্বামী। হাওড়া জেলা হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন তিনি। এদিন দুপুরে ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার (Howrah Fire News) মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকার কুলি লাইন এলাকার একটি বাড়িতে। 


অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু: সোমবার দুপুরে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল এক হল মহিলার। আহত হলেন তাঁর স্বামী। স্থানীয় বাসিন্দারা হঠাৎ লক্ষ্য করেন ঘর থেকে কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তাঁরা গিয়ে দেখেন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন দম্পতি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ। এলাকার বাসিন্দারা ও পুলিশ আহতদের নিয়ে আসে হাওড়া জেলা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত মহিলার নাম সুমিত্রা দেবী। আহত স্বামীর নাম রাম ধানী। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।


কীভাবে আগুন লাগল সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।  তদন্ত শুরু করেছে হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ আধিকারিকরা। শঙ্কর পাসওয়ান নামে এক স্থানীয় যুবক বলেন, "আমরা বাইরে বসেছিলাম। তারপর দেখলাম ওঁদের টালির বাড়িতে আগুন লাগে। ওঁরা এখানে নতুন এসেছে। আমরা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগালাম। পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসে। দমকল আসার আগেই আমরা আগুন নিভিয়ে দিই। ঘরে ঢুকে দেখি দুজনেই কাঁপছে। তাঁদের হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। একজন মারা গিয়েছে। একজন হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি আছে।''


এর আগে গতবছর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কাছে ইছাপুর বস্তির বড় অংশ। আগুনের লেলিহান শিখায় কমপক্ষে ৯০টি ঘর সম্পূর্ণভাবে ভষ্মিভূত হয়ে যায়। ঘরের মধ্যে যাবতীয় আসবাবপত্র সহ বই, ভোটার আই কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের বইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সবই পুড়ে গিয়েছে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক ঘরে আগুন ধরে যায়। বস্তির বেশিরভাগ ঘরের বাসিন্দাই কোনও কিছুই বের করার সময় পাননি।  প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইছাপুর গার্লস স্কুলে ক্যাম্প করা হয়। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ১০০ দিনের বকেয়া নিয়ে ফের কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি, এবার ডেডলাইন বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী