ভাস্কর ঘোষ,হাওড়া: স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০ তম বর্ষপূর্তিতে বর্ষব্যাপী যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বেলুড়মঠে (Belur Math।)। তারই অন্যতম অঙ্গ ছিল স্বামী অভেদানন্দ অডিটোরিয়াম নির্মাণ। প্রায় ৫ বছর পরে মহাষষ্ঠীর পুণ্য লগ্নে এই হলটির উদ্বোধন হল আজ। উদ্বোধন করলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সংঘাধক্ষ্য স্বামী স্মরনানন্দ মহারাজ।
উল্লেখ্য, স্বামী অভেদানন্দ অডিটোরিয়ামে দুটি ছোট এবং একটি বড় মোট তিনটি অডিটোরিয়ামের ২৪০০ সিটের ব্যবস্থা আছে। যেখানে দুটি মেডিটেশন হল এবং বুক স্টল ইত্যাদি থাকছে। এছাড়া ৩০ আলাদা কক্ষ নির্মিত হয়েছে স্পিকার, সন্ন্যাসী যোগা এবং কনফারেন্স এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এই অডিটরিয়ামে কেবলমাত্র মিশনের অনুষ্ঠানই নয় সাধারণ মানুষেরাও এখানে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং এবং শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, আজ মহাষষ্ঠী । শুরু হয়ে গেল বেলুড় মঠের দুর্গা পুজো। আজ মহাষষ্ঠীর পূণ্য লগ্নে ভোরবেলায় দেবীর ঘট গঙ্গার জলে স্নান করিয়ে স্থাপন এবং ষষ্ঠীর কল্পারম্ভ। চলছে দেবীর বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠান। সকাল সাতটা থেকে দশটা এবং সন্ধ্যায় ৬: ২০ মিনিটে হবে স্বস্তির পূজা। করোনা পর্বের পর এবার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বেলুড় মঠ। তাই দূরদুরান্ত থেকে অগণিত ভক্ত এবং বেলুড় মঠের দেবী দর্শনে দর্শক আসা শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে তিন দফার কোভিডে কম ঝড় যায়নি বাংলার এই পবিত্রভূমিতেও। কোভিড বিধি মেনে চললেও শেষ অবধি, এখানের অনেকেই কোভিডে আক্রান্ত হন। কোভিড বিধি মেনে এখানে দর্শক প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে প্রবেশ অবাধ করলেও, কোভিড বিধি বাধ্যতামূলক করা হয়। তার উপর এখন দোসর ডেঙ্গি। তবে জমা জল নিয়ে সতর্ক বেলুড় প্রশাসন। তার উপর এখন, দুর্গা পুজো বলে কথা। এসময় গঙ্গার পাড়ে প্রকৃতি অন্য কথাই বলে। ভোর থেকেই মনোরম পরিবেশ এখন বেলুড়ে। ফুলে ফুলে শোভিত চারিপাশ। কুমারির পুজোর অপেক্ষায় বেলুড়।
আরও পড়ুন, এসএসসি মামলায় চার্জশিটে মেলেনি সরকারি অনুমতি, দাবি সিবিআই-র
প্রতিবছরের মতো নিয়ম মেনে বেলুড় মঠে জন্মাষ্টমী তিথিতে, প্রথা মেনে অগাস্টেই দুর্গা প্রতিমার কাঠামো পুজো হয়। মূলত, ভাদ্রমাসের কৃষ্ণা অষ্টমীতে মথুরার কারাগারে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ ৷ সেই পূণ্য তিথির স্মরণে এই দেশে মহাআড়ম্বরে পালিত হয় জন্মাষ্টমী ৷ আর সেই তিথিতেই অফিসিয়ালি দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে যায়। প্রতি বছর দুর্গা প্রতিমার বিসর্জনের পর কাঠামো তুলে এনে রাখা হয়। তারপর জন্মাষ্টমীর দিনই পুজো করা হয় সেই কাঠামো। সেইমতো মন্দিরে মঙ্গলারতির পর কাঠামো পুজো করা হয়। সেইসঙ্গে শুরু হয় মণ্ডপ তৈরির কাজ। ফলে বেলুড় মঠে দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছিল গত মাসেই। শুধু বেলুড় মঠ নয়, উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহরের বিভিন্ন অংশে জন্মাষ্টমীতে দুর্গাপুজোর অফিসিয়াল সূচনা হয়ে যায় খুঁটিপুজোর মাধ্যমে ৷