সুনীত হালদার, উলুবেড়িয়া: খর চৈত্রে নদীবাঁধে ভাঙন। গঙ্গায় তলিয়ে গেল প্রায় ৫০ মিটার রাস্তা। তার জেরে গরমের মধ্যে প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার (Uluberia) বাসুদেবপুরের ১২টি গ্রামে। পরিস্থিতির জন্য কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টকে (Kolkata Port Trust) কাঠগড়ায় তুলেছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। পাল্টা যুক্তি দিয়েছে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ।
কে বলবে রবিবার সন্ধেতেও রাস্তা ছিল এখানে। এক রাতেই যেন পথের সলিল সমাধি। মাটির নদীবাঁধের ওপর বিছানো পিচ রাস্তার প্রায় ৫০ মিটার অংশ চলে গিয়েছে গঙ্গার গর্ভে। চৈত্রের শুরু থেকেই যখন গরমের চোখরাঙানি চলছে, তখন এই ছবি ধরা পড়েছে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বেলাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসুদেবপুর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে হঠাতই ধসে যায় নদীবাঁধের একটা বড় অংশ। মাঝে মাঝেই নদীবাঁধ থেকে ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ছে মাটি। দুর্বল জায়গায় স্রোতের বারবার আঘাতে আলগা হচ্ছে বাঁধের গোড়া। বাঁধের ওপরে পিচ রাস্তার ফুটিফাটা দশা। যে কোনও মুহূর্তে বড় ফাটল বরাবর আবার ধসে যেতে পারে নদীবাঁধ। গ্রীষ্মের মুখে প্লাবনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে বাসুদেবপুরের ১২টি গ্রামে। উঠছে স্থায়ী নদীবাঁধ নির্মাণের দাবি।
বাসুদেবপুরের বাসিন্দা কমল মণ্ডলের কথায়, “গ্রামগুলো নদীর ধারে। আমরা আতঙ্কে। প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই স্থায়ী নদীবাঁধ হোক।’’ খবর পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যান পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়। তাঁর সঙ্গে এলাকা পরিদর্শন করেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। নদীবাঁধ ভেঙে রাস্তা তলিয়ে যাওয়ার জন্য পোর্ট ট্রাস্টের দিকে আঙুল তুলেছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, “কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট ড্রেজিং করে না। সেকারণেই এই অবস্থা। অল্পতেই জল উটে চলে আসছে। বলেছি আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। যারা এখানে আছে, প্রত্যেককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, গঙ্গায় ড্রেজিং তারা করে, তবে তা শুধুমাত্র জাহাজ চলাচলের পথে নাব্যতা বজায় রাখার জন্য। তার জন্য বছরে ৩০০ কোটি টাকা খরচ হয়। গোটা নদী ড্রেজিং করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ব্যাপার। সেটা একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার অ্যাকশন প্ল্যানের মাধ্যমে করতে পারে।
আরও পড়ুন: Visva Bharti : উত্তাল বিশ্বভারতী, মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা বাড়ানোর দাবি, বিক্ষোভ