সুনীত হালদার, হাওড়া: নিশ্চিন্দায় (Howrah-Nischinda) গৃহবধূ পলায়নের ঘটনায় টানাপড়েন অব্যাহত। প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছিলেন বলে গোপন জবানবন্দিতে জানিয়েছেন দুই গৃহবধূই (Housewives Left Home)। তবে যাঁদের সঙ্গে ঘর ছেড়েছিলেন, সেই দুই রাজমিস্ত্রিকে জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত। বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তোলা হয় দুই অভিযুক্তকে। সেখানে দু’জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক।
অন্য দিকে, হাওড়া আদালতের বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন দুই গৃহবধূও। তবে পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন তাঁরা। রাজি হননি সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতেও। তবে পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারে অশান্তি ছিল বটে। তবে ঘর ছাড়ার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক নেই। প্রেমে পড়েই ঘর ছেড়েছিলেন দুই গৃহবধূ।
রেল পুলিশের সহায়তায় বুধবার আসানসোল স্টেশন থেকে সাত বছরের শিশু-সহ ওই দুই গৃহবধূ এবং তাঁদের সঙ্গী দুই রাজমিস্ত্রিকে আটক করে পুলিশ। সেই থেকে টানাপড়েন চলছে। পরিবারের তরফে অভিযোগ ছিল, দুই গৃহবধূ এবং সাত বছরের শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে। কিন্তু স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন দু’জনেই। তার পরই পরিবারের তরফে হাত তুলে নেওয়া হয়েছে। শিশুটিকে ফেরত নিলেও, দুই বধূকে ফিরিয়ে নেবেন না বলে জানিয়েছে তারা।
নিশ্চিন্দার আনন্দ নগরের বাসিন্দা ওই গৃহবধূ, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নিখোঁজ হয়ে যান। সেই সময় পরিবারের তরফে জানানো হয়, শ্রীরামপুরে কেটানাটাক করতে য়াবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন একই পরিবারের ওই দুই জা। তাঁদের মধ্যে ছোট জা নিজের সন্তানকেও সঙ্গে করে নিয়ে যান। তার পর থেকে আর তাঁদের খোঁজ মেলেনি।তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে বলেই আশঙ্কা ছিল পরিবারের।
আরও পড়ুন: Howrah News: নিখাদ প্রেমের টানে ঘর বাঁধার স্বপ্নে বাড়ি ছেড়েছিলেন নিশ্চিন্দার দুই জা?
কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মাস ছয়েক আগে বাড়ি মেরামতির কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ওই দুই বধূর। কেনাকাটার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। প্রথমে দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে তাঁদের মুর্শিদাবাদের সুতির বাড়িতে যান দুই গৃহবধূ। তার পর মুম্বই পাড়ি দেন। কিন্তু টাকাপয়সার সমস্যার জন্য একরাত থেকেই ফিরে আসেন।
পুলিশের দাবি, এর পর মুর্শিদাবাদেই নতুন করে সংসার পাতার সিদ্ধান্ত নেন ওই দুই গৃহবধূ। সেই মতো বুধবার আসানসোল হয়ে ফিরছিলেন। তখনই সাদা পোশাকে মোতায়েন পুলিশ তাঁদের আটক করে।