উলুবেড়িয়া (হাওড়া):  অক্সিজেন সিলিন্ডার বদলে দিতে বলায় রোগীকে ভুল ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি সরকারি হাসপাতালের নার্সের! আর এই অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল। পরিস্থিতি সামলাতে নামাতে হল র‍্যাফ। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


নার্সের বিরুদ্ধে রোগীকে ভুল ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুললেন পরিজনরা। আর এই অভিযোগ ঘিরে হাওড়ার উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়াল। রোগীর আত্মীয়দের বিক্ষোভ সামাল দিতে নামানো হয় র‍্যাফ। পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল মায়ের ওপর অভিমান করে অ্যাসিড খেয়ে ফেলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। তাকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও দীর্ঘক্ষণ তাকে দেখেননি কোনও চিকিত্সক। রাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার বদলে দেওয়ার অনুরোধেও কর্ণপাত করা হয়নি। উল্টে কর্তব্যরত নার্স ভুল ইঞ্জেকশন দিয়ে রোগীকে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। রোগীকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


অন্যদিকে, এদিন উত্তেজনা ছড়াল বারুইপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালেও। হাসপাতালে ভর্তি জন্ডিসে আক্রান্ত সদ্যোজাত ও প্রসূতি। সেখানে ডাবের জল দিতে বাবাকে  নিরাপত্তারক্ষী বাধা দেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করায় মেরে মাথা ফাটানোর অভিযোগে বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ধুন্ধুমার। রোগীর পরিবারই মারধর করে বলে পাল্টা অভিযোগ। পরিবারের দাবি, দিনকয়েক আগে জন্মানো শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ায় ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুর সঙ্গে ছিলেন মা-ও। অভিযোগ, আজ সকালে শিশুর বাবা ডাবের জল পৌঁছে দিতে চাওয়ায় বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষী। প্রতিবাদ করায় মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নিরাপত্তারক্ষীদের অভিযোগ, শিশুর পরিবারই তাঁদের মারধর করে। এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে যায় বারুইপুর থানার পুলিশ। ২ জনকে আটক করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।