সুনীত হালদার, হাওড়া: ফের রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। আর তার থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা।বাঁকড়ায় কিশোরের মৃত্যুকে ঘিরে নার্সিংহোমে চালানো হল ভাঙচুর।


পুলিশ সূত্রে খবর বাঁকড়া পশ্চিম পাড়ায় ১১ বছরের কিশোর  সকাল ১১ টা নাগাদ পুকুরে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যায়। পরে সে যখন ভেসে ওঠে তখন স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি করে তাকে বাঁকড়া সেন্ট্রাল নার্সিংহোমে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে অন্য হাসপাতালে রেফার করেন। ওই কিশোরের আত্মীয় পরিজন সঙ্গে সঙ্গে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।


এরপরই ওই কিশোরকে নিয়ে তারা ঘরে ফেরেন। পরে ওই কিশোরের পরিবারের লোকজন চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগে সেন্ট্রাল নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালায়। চেয়ার টেবিল সবকিছু উল্টে দেয়। গোটা ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরাবন্দি হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বাঁকড়া পুলিশ আউটপোস্টের পুলিশ। তারা গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।


রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বীরভূমের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তুলকালাম। চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়রা। মৃতের নাম সাবিনা বিবি। সোমবার বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। রামপুরহাটের বাসিন্দা ২৭ বছরের গৃহবধূ। গতকাল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতিতেই এই মৃত্যু। ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের আত্মীয়রা। রামপুরহাট থানার
পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


বছরটা ২০২৩ সাল। মধ্য কলকাতার লেনিন সরণিতে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর তুলেছিল নার্সিংহোমে। মূলত কোমরে যন্ত্রনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের সাদাব আহমেদ।  এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে নার্সিংহোম ভাঙচুর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।মৃতের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। মূলত  নিউমার্কেট এলাকার বাসিন্দা তথা পেশায় ব্যবসায়ী  বছর পয়ত্রিশের এক যুবক কোমরে প্রবল ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন। যার পরই তাঁকে মধ্য কলকাতার লেনিন সরণীর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল গতবছর।


 আরও পড়ুন, শ্মশানে যাওয়ার পথে বাজল ডিজে, তালে তাল মিলিয়ে কোমর দোলালেন শবযাত্রীরা


মৃত যুবকের পরিবারের দাবি ছিল, রাতে হাসপাতালের তরফে ফোন করে জানানো হয়েছিল, রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য আরও অর্থ প্রয়োজন। আর তারপর সকালে জানানো হয়েছিল, মারা গিয়েছেন ওই যুবক। যারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন যুবকের পরিবারের লোকজন। হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, যথাযথ চিকিৎসার বদলে শুধুই অর্থের দাবি জানিয়েছিল তাঁরা। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।