সুনীত হালদার, হাওড়া : হাওড়া স্টেশন  লাগোয়া রেল মিউজিয়াম । এবার তা সেজে উঠল নতুন ভাবে। গঙ্গার ধারে স্টেশনের অনতিদূরে এই মিউজিয়াম হয়ে উঠতে চলেছে কলকাতার পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ । হাওড়া স্টেশনে নেমে হাতে অল্প সময় থাকলে ঘুরে দেখা যেতে পারে এই সংগ্রহশালা।  সোমবার সন্ধেয় নতুন রূপে সজ্জিত রেল মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অমরপ্রকাশ দ্বিবেদী।


২০০৬ সালে হাওড়া স্টেশন লাগোয়া রেল মিউজিয়াম চালু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় রেলের উন্নয়ন এই রেল মিউজিয়ামে তুলে ধরা হয়েছে । এই রেল মিউজিয়ামে রয়েছে নানা ধরনের ইঞ্জিন, কোচ, ট্রেনের যন্ত্রাংশ, সিগন্যাল সিস্টেম, ট্রাক,  সেলুন কার এবং দুষ্প্রাপ্য ছবি ।  এমনকি পাকিস্তানের একটি রেল ইঞ্জিনও রয়েছে এখানে।


পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে এই মিউজিয়ামকে সাধারণ মানুষের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।



  • ট্রেনের কোচ গুলিকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে।

  • মিউজিয়ামের ভেতরে গোটা চত্বরে নতুন করে আলো লাগানো হয়েছে।

  • নতুন বসার আসন এবং শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে ।

  • হাওড়া স্টেশনের রেপ্লিকাকে আরো আকর্ষণীয় করা হয়েছে।

  • পাশাপাশি দর্শকদের চোখ টানতে রেল কোচ রেস্টুরেন্ট চালু করা হয়েছে।

    পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অমরপ্রকাশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, রেল সম্পর্কিত ইতিহাস জানতে মানুষ এখানে আসতে পারেন। পড়ুয়ারা এলে ভারতীয় রেল সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন। নতুন করে সব জিনিস সাজানো হয়েছে। এর পাশাপাশি রেলের কোচের আদলে রেস্টুরেন্ট চালু হয়েছে। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন লখনৌর এক এজেন্সিকে পাঁচ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রতি বছর রেলের ঘরে ২৬ লক্ষ টাকা করে আসবে। আর খাবাবের মানও ভাল হবে বলে আশা। তাই যাঁরা শীতের দিনে কম সময়ে নতুন জায়গা ঘুরে দেখতে চান তাঁদের কাছে আকর্ষণের বিষয় হতে পারে হাওড়ার রেল মিউজিয়াম। 

    সময় হাতে থাকলে, মিনিট ২০ দূরেই রয়েছে বোট্যানিকাল গার্ডেন। শীতের দুপুর বা বিকেলে মিঠে রোদে পিঠ সেঁকতে ও সবুজের রাজ্যে মন হারাতে এর থেকে ভাল অপশন আর কীই বা হতে পারে ? 

    আরও পড়ুন : 

    মিঠে রোদ গায়ে মেখে সবুজে ডুব, বড়দিনে পর্যটকদের চিরন্তন আকর্ষণ শুশুনিয়া