সুনীত হালদার, হাওড়া: নবমীর সকালে ডোমজুড়ের সলপে পুড়ে ছাই ৩টি গাড়ি। একটি গাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ সলপের লালবাড়ির কাছে বন্ধ গ্যারাজে আগুন লাগে। আগুনের গ্রাসে চলে যায় পরপর ৪টি গাড়ি। দমকলের ২টি ইঞ্জিন আধঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও, গোটা গ্যারাজ ভস্মীভূত। গাড়িতে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।
অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) সম্পত্তি সংক্রান্ত তদন্তে বোলপুরের (Bolpur) যে ব্যাঙ্কে সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল। সম্প্রতি সেই ব্যাঙ্কেই অগ্নিকাণ্ড ঘিরে, উত্তপ্ত হয়ে উঠল বীরভূমের (Birbhum) রাজনীতি (Politics)।
ঠিক কী ঘটেছে?
গত ২০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ দোতলায় আগুন লাগে। প্রথমে ফলস সিলিং থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। এরপর গোটা ব্যাঙ্কে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত কর্মীরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। ঘটনাস্থলে দমকলের ২টি ইঞ্জিন। গরুপাচার মামলার তদন্তে বোলপুরের অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের এই ব্রাঞ্চেই বেশ কয়েকবার হানা দেয় সিবিআই।
গড়িয়া স্টেশনের (Garia Station) কাছে অবন্তীপুরে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য। মোটরবাইকের শোরুমে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগানোর পর ছোড়া হয় বোমা। দুষ্কৃতীদের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। হামলার ঘটনা সিসি ক্যামেরায় (CC Camera) ধরা পড়েছে। গতকাল রাত ৩টে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। আগুন লাগানোর পর পরপর ২টি বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। একটি ফাটলেও আরেকটি ফাটেনি। পরে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। বাইকের শোরুমের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত আক্রোশ, না কি ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণে হামলা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ওই একই দিনে কলকাতার ( Kolkata Fire ) প্রাণকেন্দ্রে ভয়ঙ্কর আগুন লাগে। ক্যামাক স্ট্রিটের ( Camac Street ) একটি পানশালায় আগুন লাগে সোমবার গভীর রাতে। রাত ৩ টে নাগাদ কর্মীরা বাড়ি চলে যাওয়ার পর পানশালায় আগুন লাগে বলে জানা যায়। মুহূর্তে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। মাঝ রাতে ক্যামাক স্ট্রিট এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে আসতে শুরু করে একের পর এক দমকলের ইঞ্জিন।
পানশালার পিছনেই ভয়াবহ আগুন
কালো ধোঁয়ায় গোটা এলাকা ঢেকে যায়। ক্যামাকস্ট্রিটের ওই এলাকা অপেক্ষাকৃত ঘিঞ্জি। তাই আগুন যাতে বেশি ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিয়ে শুরু থেকেই অতি সতর্ক ছিল দমকল বাহিনী। প্রবল তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ক্যামাক স্ট্রিটে ওই পানশালার বিপরীতেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর। ভোরের মধ্যে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই পানশালার পিছনেই রয়েছে বেশি কিছু বাড়ি। আগুন ছড়ালে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারত।